হাজার চেষ্টা করেও একাংশ শিক্ষককে বিদ্যালয় মুখি করে তুলতে হিমসিম খেতে হচ্ছে শিক্ষা বিভাগ তথা অসম রাজ্য সরকারকে।
প্রতি দিন অনুপস্থিতির তালিকায় অভিলেখ সৃষ্টি করে চলেছেন এই সব শিক্ষকরা। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক স্বরূপ এমনই এক শিক্ষিকার সন্ধান পাওয়া গেছে অসমের হাইলাকান্দি জেলার বন্দুকমারা অঞ্চলে।
এখানকার ৪৮৭ নম্বর বন্দুকমারা আর এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিগত ২১ বছর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় জনগণের।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আলেয়া বানু লস্কর বিগত ২১ বছর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উত্থাপন করে বুধবার স্থানীয় জনগণ এবং কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কালাছড়া আঞ্চলিক সমিতি জেলাশাসককে এক স্মারকপত্র তুলে দেন।
তাদের অভিযোগ, সরকারি তথ্যে এই বিদ্যালয়ে আলেয়া বানু নামের এক সহকারী শিক্ষিকা থাকার উল্লেখ থাকলেও আজ অবধি এই এলাকার কেউ তাকে স্বচক্ষে দেখেননি। এমনকি বিদ্যালয়ে ২০০৮ ইংরাজিতে যোগদান করা প্রধান শিক্ষক ও দেখেননি শিক্ষিকা আলেয়া বানুকে।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিরও একই অভিযোগ। বিগত ২০১৭ ইংরাজিতে অনুষ্ঠিত গুণোৎসবের সময় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যার ফলস্বরূপ সেই সময় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক ভাবে নিলম্বিত করা হয়েছিল।
কিন্তু এর দু’মাসের মধ্যেই তার নিলম্বনের নির্দেশ আশ্চর্যজনক ভাবে উঠিয়ে নেওয়া হয়। শিক্ষিকা আলেয়া বানুর স্বামী হাইলাকান্দি স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে করণিক হিসাবে কর্মরত থাকার সুবাদেই এই ধরনের সুবিধা পেয়ে আসছেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় জনগণ।