ধসমুক্ত হল পাহাড়ি রাজ্য মেঘালয়ের রাতাছড়া ও উমকিয়াং। ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ১২ ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হল।
অনেক কসরতের পর বুধবার রাত এগারোটায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মেঘালয়ে বুধবার ফের ধস পড়ে। এজন্য বরাক উপত্যকার সঙ্গে বহিঃভারতের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বুধবার সকাল এগারোটা থেকে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মুষলধারা বৃষ্টির ফলে বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে রাতাছড়া এবং উমকিয়াং এর পার্শ্ববর্তী তিনটি এলাকায় ধস নেমে আসে। পাহাড়ী রাজ্যের পূর্ত বিভাগ জাতীয় সড়কের উপর থেকে মাটি সারাইয়ের কাজে লাগলেও বাধ সাধে মুষলধারা বৃষ্টি।
ফলে জাতীয় সড়কটি যান চলাচলের উপযুক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। মেঘালয় রাজ্যের পূর্ত বিভাগের কর্মীরা এসকেভেটর নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটি সারাইয়ের কাজে হাত লাগান। বৃষ্টি হওয়ার ফলে জাতীয় সড়ক পিচ্ছল হয়ে উঠে।
ধস সারাইয়ের কাজে থাকা কর্মীরা জোর তৎপরতার সঙ্গে মাটি সরানোর কাজ চালিয়ে গেলে রাত এগারোটায় সফলতা আসে। গভীর রাতে জাতীয় সড়ক যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়। প্রথমে ছোট যান গুলোকে ধস পড়া এলাকা পার করার সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অরো ধস পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পাহাড় থেকে মাটি গড়িয়ে পড়াতে জাতীয় সড়ক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।