গুয়াহাটিঃ মহানবমী বাঙালির মন খারাপের দিন, রাত পোহালেই উমা (Durga) বাপের বাড়ি ছেড়ে পাড়ি দেবেন কৈলাশে। অন্তিম লগ্নে তাই মহানগরে ঠাকুর দেখার ধুম লক্ষ্য করা গেছে। নবমী নিশি না পোহায় এই বীজ মন্ত্ৰ জপ করে মহানবমীর সকাল থেকেই Guwahatiর রাস্তায় নেমেছেন অসংখ্য মানুষ।
শহরের যেদিকেই তাকানো যায় সব জায়গাতেই পুজো মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। সকাল থেকেই চলছে মহানবমীর পুজো। টানা ৮দিন মহাষাসুরের সঙ্গে লড়াইয়ের পর অষ্টমী নবমীর সন্ধীক্ষণে তাঁকে বধ করে দেবী দুর্গা। যুদ্ধ উন্মক্ত দুর্গাকে শান্ত করতেই নবমী পুজোর সঙ্গে করা হয় বিশেষ চণ্ডীপাঠ। নবমীর দিন দেবী দুর্গাকে (Durga) সিদ্ধিদাত্ৰী হিসেবে পুজো করা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস মতে মহা নবমীর দিন কায়মনবাক্যে দেবীকে (Durga) আরাধনা করলে মনের সব ইচ্ছা পূর্ণ হয়। কলকাতায় তো মহালয়ার দিন থেকেই কিছু কিছু পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন হয়ে যায়। Guwahatiতেও বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ পঞ্চমী থেকেই উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় উৎসবের আনন্দটা একটু বেশি করে উপভোগ করতে পারেন মহানগরবাসী। পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় থাকলেও মানুষ আনন্দের টানে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পুজোর আনন্দে গা ভাসাতে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানগরের রাস্তাগুলি ট্ৰাফিক জাম হয়ে পড়ে। হিমসিম খেতে হয় ট্ৰাফিক পুলিশকে। মহানগরের পুলিশ প্ৰশাসন পুজোর কটাদিন ট্ৰাফিক জাম সামলাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাদের আর ছুটিছাটা নেই। পুজোর কটা দিন ঠিক মতো ট্ৰাফিক জাম সামলে নেওয়াটাই তাদের একমাত্ৰ লক্ষ্য।