নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসির নিশানা কোন ধর্ম নয়।
বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিবেশি দেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সিরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
এর আগে বহুবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদেরই ভারতে শরণার্থী হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে।
তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা ক্যাব সম্বন্ধে বলেন, “শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।’’
এনসিপি সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেনকে অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘‘আপনি এনআরসি এবং নাগরিক সংশোধনী বিলের মধ্য গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই সব কিছু হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন, দেশের সব নাগরিকেরই নাম নথিভুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। দেশের সর্বত্র এনআরসি হবে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। সকলকে এনআরসি-র আওতায় আনতেই এই প্রক্রিয়া।’’
৩১ আগস্ট প্রকাশিত ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ।
চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।
অমিত শাহ এদিন সংসদে বলেন, ‘‘তালিকায় নাম বাদ গেলে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। অসমের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রাইবুনাল গড়ে তোলা হবে। কারও সামর্থ্য না থাকলে, অসম সরকার তাঁর আইনজীবীর খরচ বহন করবে।’’