ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে এনেছে দিল্লির নিজামুদ্দিন!
নতুন করে মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে ধরা পড়েছে করোনা আক্রান্ত আরো দুজন।
বুধবার রাত ১২.৩০টায় মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং টুইটারের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করেন।
মণিপুরে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২।
অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশেও প্রথম কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংবাদ এসে পৌঁছেছে। রাজ্যের তেজুর একজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে।
এক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সার্স করোনায় আক্রান্ত উক্ত ব্যক্তি ১৬ মার্চ নয়া দিল্লির নিজামুদ্দিন তবলিগি জামাতে অংশ নিয়ে নিজ রাজ্যে ঘুরে এসে গত ২৪ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন তাবলিগি জামাতে অংশগ্রহণ করা অন্যান্য লোকেদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, অসমে বুধবার রাত পর্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। এ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৬জনে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হলো, এঁরা প্রত্যকেই দিল্লির নিজামুদ্দিনের জামাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
অসমে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন করিমগঞ্জের জামাল উদ্দিন নামক ব্যক্তি।
সম্প্রতি দিল্লির জামা মসজিদ ও নিজামুদ্দিন এলাকায় গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
পেশায় ব্যবসায়ী হাসানপুর সৈদপুর গ্রামের খায়রুন্নেছা বেগম ওমেন কলেজের পাশ্ববর্তী বাড়ির প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র মুফতি জামাল উদ্দিন ৫২ গত এগারো মার্চ দিল্লি গিয়েছিলেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার জানানো তথ্যানুযায়ী, অসম থেকে প্রায় ৫০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন জামাতে। এবং সেখান থেকে ঘুরে অসমে এসে স্বেচ্ছায় তাঁরা যোগাযোগ করেননি স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, এ মুহূর্তে ১০০-রও ওপর মানুষ আত্মগোপন করে রয়েছেন!
বুধবার রাতে হাজোতে নিজামুদ্দিন থেকে ফিরে আসা দুজনকে আটক করে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার রাজ্যবাসীর প্রতি নিবেদন, নিজের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে তাঁরা যেন স্বেচ্ছায় ধরা দেন। কারণ এমন ভয়ংকরভাবে দেশের মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়ার অধিকার কারো নেই!