নয়া দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তবলিগী কাণ্ড সমগ্র ভারতকে আগ্নেয়গিরির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এই ঘটনার পরই যথেষ্ট কঠোর হতে দেখা যাচ্ছে ভারত সরকারকে।
উল্লেখ্য, নিজামুদ্দিন মারকাজ ইতিমধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তবলিগীতে অংশগ্রহণ করা বহু লোক ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, এবং ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই স্থান থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটছে বলেও বলা হচ্ছে সরকারিভাবে।
উক্ত তবলিগীতে বিদেশ থেকে আসা ধর্মপ্রচারকরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উক্ত বিদেশিদের ভিসা পরীক্ষা করার পর ভারত সরকার ৩৭০ জনের ভিসা নিষিদ্ধ করার কুচকাওয়াজ করেছে বলে বিশেষ সূত্রে প্রকাশ।
সূত্রের মতে, সেই সকল বিদেশিদের সামাজিক দূরত্ব গাইডলাইন্স ভঙ্গ করার অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, তবলিগীতে অংশ নেয়া বহু প্রতিনিধি পর্যটক ভিসা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সূত্রের মতে আরো বলা হয় যে, ভারতে ‘মিশনারি ভিসা’ উপলব্ধ রয়েছে যদিও তাঁরা পর্যটকের ভিসা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ভিসা নীতি ভঙ্গ করে গুরুতর অপরাধ করেছেন।
যদি তাঁদের এই অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে ফরেনার্স অ্যাক্টের সেকশন ১৪অধীনে তাঁদের ভিসা নিষিদ্ধ করাটা নিশ্চিত।
অবশ্য, ভারতে প্রবেশ করে পর্যটকের ভিসাকে মিশনারি ভিসায় পরিবর্তন করলে তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না । গৃহ মন্ত্রণালয় এই সমস্ত বিষয়গুলো অতি শীঘ্রই পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে সূত্রটি দাবি জানিয়েছে।