‘রাষ্ট্রীয় বজরং দল’ ৬ সেপ্টেম্বর ডাক দেয়া বন্ধের প্রভাব নিম্ন অসমের গুয়াহাটিতে একেবারেই পড়েনি বললেই চলে।
অন্যান্য দিনের মতোই জনসাধারণের স্বাভাবিক গতি অব্যাহত রয়েছে মহানগরে। এমনকি ফাঁসি বাজার এবং বাঙালি অধ্যুষিত পাণ্ডু, মালিগাঁও অঞ্চলেও বন্ধের কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।
এদিকে উজান অসমের তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়ে বন্ধের পুরো প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাট জনশূন্য। গাড়ি চলাচল নেই, দোকান থেকে শুরু করে বিদ্যালয়গুলো পর্যন্ত বন্ধ তিনসুকিয়ায় !
নলবাড়ি এবং ধুবড়িতে চলছে এনআরসির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ। রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে ‘বজরং দল’ প্রতিবাদ কার্যসূচী অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এনআরসি নাকচের জোর দাবীতে রাষ্ট্রীয় বজরঙ দল শুক্রবার ১২ ঘন্টা অসম বনধের আহ্বান জানিয়েছিল। এই বনধের প্ৰতি পূর্ণ সমৰ্থন রয়েছে আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের।
প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট অসমে রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির পূর্ণাঙ্গ খসড়া তালিকা প্রকাশের পর পরই অসমের জনসাধারণের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হিন্দু বাঙালির নাম বাদ গেছে নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে। ক্ষোভে ফুটছে অসমবাসী।
তালিকায় নাম না থাকার ফলে সাধারণ মানুষ কোন পথ চোখে দেখতে না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
বিজেপি টাউন মণ্ডল সভাপতি মানব চক্রবর্তীর বক্তব্য, “গত ৩১ আগস্ট অসমে প্রকাশ পাওয়া রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকায় হাইলাকান্দি জেলার বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের নাম বাদ পড়েছে। ৭১-র আগের প্রমাণপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাদের নাম কাটা হয়েছে এনআরসি তালিকা থেকে।
সভাপতির প্রশ্ন, কেন হিন্দু নাগরিকদের নিয়ে চক্রান্ত চলছে? হাইলাকান্দিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের নাম উঠে যায় নাগরিক পঞ্জির তালিকায় অথচ যারা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক, যারা এই দেশে জন্মেছে তাদের নামই বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে।”
চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকায় বুধবার আত্মহত্যা করা হাইলাকান্দির স্টেশন রোডের গৃহবধূ সাবিত্রী রায়ের মৃতদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এদিন জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গৃহবধূর মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।