লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড অসমের গুয়াহাটিতে। একটি সাধারণ ছোট কথা এবং পরিবর্তে একটি তাজা প্রাণ ছিনিয়ে নেয়া!
শুক্রবার দিন-দুপুরে গুয়াহাটি মহানগরের নুনমাটিতে সংঘটিত হওয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঋতুপর্ণ পেগুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৫ জনের নামঃ হোসেন আলি, দুলাল আলি, ইব্রাহিম আলি, মনোয়ারা খাতুন এবং আরমান আলি।
নুনমাটির আরমান হোম ফার্ণিশিং দোকানটিতে সংঘটিত হয় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। ধৃতদের বিরুদ্ধে নুনমাটি পুলিশ ২৯৪/২০ নম্বরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
উক্ত দোকানের সামনে তিনজন লোক গলা টিপে, লোহার রড দিয়ে মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করে পেগুকে। সমগ্র ঘটনা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দী হয়েছে।
একসময় আরমান ফার্নিচার হাউসে সেলসম্যানের কাজ করতেন ঋতুপর্ণ৷ কাজ ছাড়ার পরেও মাঝে মধ্যেই গুয়াহাটির নুনমাটির সেই দোকানে আসতেন তিনি। এদিনও সেরকমই এসেছিলেন।
ঋতুপর্ণ পেগু্র সঙ্গে হোসেন আলির তর্কাতর্কি হয় একটি টুলে বসা নিয়ে।সেই তর্কাতর্কি ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এবং শেষে হত্যা! হোসেন আলি ফোন করে ডেকে পাঠায় বাবা-ভাইকে। হাতে রড, তীক্ষ্ণ অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয় বাবা। হোসেন আলিকে হত্যাকাণ্ডে সাহায্য করে বাবা-ভাই।
বিগত কয়েকদিন ধরে অসমে গণপ্রহারে হত্যা, পশুখুন প্রভৃতি ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়ে চলেছে ক্রমাগতভাবে। মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে দেশের আইনী ব্যবস্থার ওপর।
আজ, ১৩ জুন নুনমাটি থানার সামনে রাজ্যের বিভিন্ন দল -সংগঠন ঋতুপর্ণের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ কার্যসূচি করেছে।
দোষীকে যেন শীঘ্রই ফাস্টট্রাক আদালতে নেয়া হয়, সে দাবীতে তীব্র বিক্ষোভকার্য চালাচ্ছেন তাঁরা।
মিসিং সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, “মুসলিমরা মানবিক হোক। নয়তো ছাড়া হবে না।” ঋতুপর্ণের মা বুক ভাসিয়ে ফেলছেন কান্নায়, ন্যায় লাগে, এছাড়া আর কিছু বুঝি না।
ঋতুপর্ণের নিথর মৃতদেহ রাস্তার ওপর পড়েছিল ৷ সেই দেখে তাঁর শিশুকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন ৷ অসমের ধেমাজি জেলার শিলাপাথার এলাকার বাসিন্দা ঋতুপর্ণ৷ কিন্তু চাঁদমারি এলাকায় তিনি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷