পরিবর্তনকামী রাজ্য সরকারের আমলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলির বেহাল দশা।
বদরপুর বিধানসভা সমষ্টির বদরপুর সরকারি হাসপাতালে একমাস ধরে চিকিৎসকবিহীন চিকিৎসা চলছে। চলছে স্বাস্থ্য পরিষেবামুলক নানা কার্যক্রম। ফলে প্রতিদিন শতশত মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসাসেবা থেকে। দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর।
অথচ এদিকে নজর নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
বদরপুর ব্লকের বদরপুর সরকারি হাসপাতালের বেহাল অবস্থা ফেরানো সহ সামগ্রিক পরিষেবা বহাল রাখার দাবিতে অনসন ধর্মঘটে নামলেন বদরপুরের যুব সমাজ ।
অভিযোগ, নেই চিকিৎসক, নেই স্বাস্থ্যকর্মী। মাঝে মধ্যে আউট ডোর খোলা থাকলেও ইনডোর পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। অথচ সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েকটি অঞ্চল বুন্দাশীল, দেউরাইল, উমরপুর, কোনাপাড়া গ্রাম ও পার্শবর্তী বদরপুরের বহু মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল ।
অভিযোগ, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের গাফিলতির জেরে গত কয়েকদিন ধরে একজনও চিকিৎসক নেই হাসপাতালে । বারবার লিখিতভাবে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অবশেষে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেহাল পরিষেবা ও সরকারি গাফিলতির প্রতিবাদে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনসাধারণ সহ বদরপুর যুব সমাজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হায় হায়, বিভাগীয় যুগ্ম সঞ্চালক হায় হায়, আসাম সরকার হায় হায় স্লোগান ইত্যাদিতে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠে।
আগামী দুইদিনের মধ্যে যদি চিকিৎসক নিযুক্তি দেওয়া না হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেন তাঁরা ।
এদিকে, চিকিৎসক নিযুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গে ছুটে আসেন বদরপুর রাজস্ব চক্রের সার্কেল অফিসার, শ্রীগৌরী হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ডক্টর উৎপল মাহতি।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই চিকিৎসক নিযুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আপাততঃ অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারী।
এদিন অবস্থান ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন বুন্দাশীল গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি হাবিবুর রহমান ( লিটন ), বুন্দাশীল জিপির গ্রুপ সদস্য আব্দুল কালাম , সমাজসেবী সৈয়দ কমর উদ্দিন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আসাম রাজ্যের সহ সভাপতি জ্যাকী জাকির প্রমুখ।