কেন্দ্ৰীয় গৃহমন্ত্ৰী অমিত শাহ আজ সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধেয়ক বিল ২০১৯’ উত্থাপন করতে চলেছেন।
ক্যাব পাস হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের বলি হয়ে আসা অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হবে।
এদিন বিলটি পাস হয়ে গেলে ভারতে ৫ বছর ধরে বসবাসকারী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নাগরিকত্ব লাভ করবেন।
এই ক্যাবের মাধ্যমে ভারতে আসা মুসলমান লোকেদের নাগরিকত্ব প্রদানের কোন ব্যবস্থা নেই।
অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, এই বিল ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে কেউই ধর্মরক্ষার তাগিদে দেশ ছাড়েননি।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে মুসলমানদের উপরে ধর্মীয় নিপীড়ন হয় না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অন্য ধারাগুলির মধ্যে এটিও রয়েছে যে এইসব দেশের অমুসলমানরা যাতে সহজে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করেছে, তাতে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের ইনার লাইন পারমিটভুক্ত এলাকা এবং উত্তর পূর্বের ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলিকে বাদ রাখা হয়েছে।
এর অর্থ হলো, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের আওতায় যাঁরা ভারতীয় নাগরিক হবেন, তাঁরা অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের বাসিন্দা হতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই যাঁরা ভারতীয় নাগরিক, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই বিধিনিষেধ লাগু হবে।
একই সঙ্গে অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার এক বিরাট অংশ ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যে এই বিলের আওতা থেকে বাদ থাকবে।
বিলে বলা হয়েছে, “অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার যেসব অংশ সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত এবং যেসব জায়গা ১৮৭৩ সালের বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশনের নোটিফিকেশনের আওতায় পড়ে, সেসব ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না।”
ক্যাব বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যে ১০ ডিসেম্বর ১১ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন। অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিরোধী শিবিরগুলোও।