নয়ডা-য় অনলাইন শপিং-এ মার্কেটিং-এর নামে হাইলাকান্দি ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের প্রায় লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিল টাকা ছিনতাইকারীরা! মাথায় হাত ওই গ্রাহকের।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হাইলাকান্দি শাখা থেকে ৯৩ হাজার টাকা খোয়া যাওয়া ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকের নাম রাজীব রায়।এনিয়ে তিনি হাইলাকান্দি সদর থানায় দায়ের করেছেন একটি মামলা।
হাইলাকান্দি শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রম রোডের বাসিন্দা রাজীব রায় ১৮ জুন হাইলাকান্দি সদর থানায় দায়ের করা মামলায় (নম্বর-৬৩০/২০১৯) উল্লেখ করেছেন, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হাইলাকান্দি শাখায় তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আর ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চলতি বছরের ৮ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কে বা কারা মোট ৯৩ হাজার (৯৩০০০,০০) টাকা “মার্কেটিং”-এর নামে ট্রান্সফার করেছে।
মামলায় রাজীব রায় উল্লেখ করেছেন, তিনি ৬ জুন এসবিআই এটিএম থেকে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এটিএম দিয়ে ৫ হাজার (৫০০০,০০) টাকা উঠিয়েছিলেন ঠিকই তবে এসবিআই-র এটিএম থেকে টাকা ওঠানোর জন্য কোনো “অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট” পান নি।
এর আগে ১৪ এপ্রিল ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার থেকে এটিএম দিয়ে ১১ হাজার (১১০০০,০০) টাকা উঠালে যথারীতি “অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট” তাঁর হাতে আসে এবং ওই স্টেটমেন্ট থেকে জানতে পারেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স রয়েছে মাত্র ৩৯৬ দশমিক ২৬ টাকা। এতে তাঁর চোখ কপালে উঠার পাশাপাশি এনিয়ে সন্দেহ হলে তিনি তৎক্ষনাৎ ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হাইলাকান্দি শাখায় গিয়ে তিনি তাঁর পাশবুক “আপ-টু-ডেট” করান।
এতে স্পষ্ট ধরা পড়ে তাঁর ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৯৩ হাজার (৯৩০০০,০০) টাকা কোনো দুষ্কৃতী তথা ছিনতাইকারীরা মার্কেটিং-এর নামে আত্মসাৎ করেছে।
বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের শাখা প্রবন্ধকের (বিএম) গোচরে আনেন। কিন্তু শাখা প্রবন্ধক এনিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন পেশায় ব্যবসায়ী রাজীব রায়। তিনি তাঁর গচ্ছিত টাকা যাতে শীঘ্রই ফেরত পান এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মামলায় আর্জি জানিয়েছেন।
এদিকে, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা হাইলাকান্দি সদর থানার এসআই এস সাংলই জানিয়েছেন, রাজীব রায়ের মামলাটি ৬৩০/২০১৯ নম্বরে ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় নথিভুক্ত হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের নয়ডা সহ আরো দু-একটি স্থানে অনলাইন শপিং-এর নামে রাজীব রায়ের টাকা হেক হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন।