প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী গৌতম রায় বিদেশি (?) তাঁর পৌত্র হেমব্রত রায়ও সন্দেহ জনক নাগরিকের তালিকায়! শুনতে আশ্চর্য জনক মনে হলেও অভিযোগ কিন্তু এমনটাই। রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জী উন্নীতকরন প্রক্রিয়ায় গৌতম রায় এবং তাঁর পৌত্রের নাগরিকত্ব নিয়ে আভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি।
রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি উন্নতিকরন বা এন আর সি নবীকরণ প্রক্রিয়াতে বর্তমানে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বরাক উপত্যকার সাধারণ জনতা। একাংশ লোক উদ্দেশ্য মূলক ভাবে এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে চলছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যতগুলি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বেশির ভাগের শুনানির সময়ই উপস্থিত ছিলেন না অভিযোগকাকারিরা। বেশ কিছু দিন থেকেই এ নিয়ে নানা অভিযোগ করে আসছে হাইলাকান্দির কয়েকটি দল সংগঠন। এই অভিযোগের শুনানির জন্য এবং নিজের নাগরিকত্ব পুনর প্রমাণ করতে সাধা্রণ নাগরিকদের বার বার ছুটতে হচ্ছে রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
কিন্তু এবারে কোন সাধারণ নাগরিকের নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। অভিযোগ করা হয়েছে অসম বিধানসভার এক প্রাক্তন মন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে। তিনি আর কেউ নন। অসম বিধানসভায় তিন দশক থেকে বিধায়ক ও মন্ত্রী থাকা গৌতম রায়। গৌতম রায়ের সঙ্গে তাঁর পৌত্র অর্থাৎ প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায়ের ৬ বছর বয়সের পুত্র হেমব্রত রায়ের নাগরিকত্ব নিয়েও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করেছেন হাইলাকান্দি জেলারই জহিরুল আলি চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
১৫ মে, বুধবার ছিল তাঁদের শুনানির তারিখ। কিন্তু ১৩ তারিখ পর্যন্ত হাইলাকান্দিতে অন্যান্য জরুরি কার্যালয়ের সঙ্গে এন আর সি’র কাজ ও বন্ধ থাকায় ঠিক সময়ে নোটিশ পাননি রায় পরিবার। আর ১৫ তারিখ জেলার বাইরে থাকার জন্য শুনানিতে উপস্থিত ও থাকতে পারেননি তারা।
কিন্তু সূত্র মতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গৌতম পরিবার পরবর্তী আরও একটি শুনানির তারিখের জন্য আবেদন করেছেন । সেই দিনই নির্ধারণ হবে গৌতম এবং তাঁর পৌত্রের নাগরিকত্ব।
১৯৭২ সাল থেকে অসম বিধানসভায় বিধায়ক থাকা সন্তোষ কুমার রায়ের পুত্রকেও যদি ৭১ সনের আগে আসামে থাকার প্রমাণ দিতে দিল্লি থেকে পরিবার নিয়ে ছুটে আসতে হয় তাহলে সাধারণ জনগণের কি হতে পারে?
এখন এই প্রশ্নই ঘোরপাক খাচ্ছে হাইলাকান্দির সর্বত্র। এ ব্যাপারে গৌতম রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে এই গণহয়রানির বিরূদ্ধে তিনি আইনের পথ দেখবেন।