‘কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে।
পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ।
কেউ বা ভাজছে গরম তেলে।
খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে।
চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ।
কচি পাতাগুলো খায়ও অনেকে।
এমনি কাঁচাই…..
কিংবা ভেজে বেগুন- সহযোগে।
যকৃতের পক্ষে ভারী উপকার।
কচি ডালগুলো ভেঙে চিবোয় কত লোক…। দাঁত ভালো থাকে।
কবিরাজরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ’।নিমগাছ আর নারীর কথা এলেই বনফুলের নিমগাছ কবিতাটি মনে পড়ে।
নিমের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বহু বর্ষজীবি বৃক্ষ নিম। নিম গাছের ডাল, পাতা— সব কাজে লাগে।নিম গাছের এমন কিছু নেই যা কাজে লাগে না।ভীষণ গুণী একটি গাছ। ত্বকের যত্ন থেকে শুরু করে আরো হাজার কাজে লাগে নিম।
নিমের তেলও ব্যবহার করা হয়। এটিও উপকারি।নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই আর ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
ত্বকের যে কোন সমস্যায় নিমপাতা লাগানো উচিত । যা আপনাকে ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। আবার আপনি এমনিও নিম পাতা সেদ্ধ করা জলে স্নান করতে পারেন।
নিম পাতা দরজাও লাগিয়ে রাখাও ভালো। নিমের হাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) বিরোধী।
এদিকে, ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত লাগাতে থাকুন নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ বেটে।
নিমের দাঁতন ব্যবহার করা তো খুবই উত্তম। আগেকার দিনে লোকজনের মধ্যে এর চল ছিল যদিও এখন নেই। এটি আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
কোথাও যদি কেটে যায়, অথবা পুড়ে গেলে সেই ক্ষত জায়গায় নিম পাতার রস লাগিয়ে দিন। যেটা ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।