অসম: গোটা ভারত রঙিন হয়ে পড়েছে। সবুজ সাদা গেরুয়া রঙে একাকার। চারদিকে সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ তেরঙ্গা লাগাচ্ছেন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির (Har Ghar Tiranga) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আওতায় সরকারি, বেসরকারি ভবন-সহ দেশের ২০ কোটি বাড়ির মাথায় জাতীয় পতাকা (Indian National Flag) তোলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।
এখন জাতীয় পতাকার চাহিদা তুঙ্গে। কারখানার কর্মীরা তো কাজ করেই চলেছেন, পাশাপাশি দোকানগুলোতেও বিক্রি হচ্ছে। তাঁদের ও শ্বাস ফেলার সময় নেই। ব্যস্ততা চরমে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত ‘অমৃত মহোৎসব’-এর অন্তর্ভুক্ত এই কর্মসূচি। এর আওতায় শুধু বাড়ির ছাদে পতাকা তোলাই নয়, ফেসবুক, ট্যুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলও জাতীয় পতাকায় শোভিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজেও পতাকার ছবি লাগিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট অর্থাৎ আজ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন চলবে বলে জানানো হয়েছে।একটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো সেটা হচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যে আর ১৩ তারিখের জন্যে কেউ অপেক্ষায় বসে নেই, দুই তিনদিন আগে থেকেই বাড়িতে বাড়িতে, দোকানে, ঠেলায়, রিক্সায়, সব জায়গায় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বের হচ্ছে মিছিল, ভারত মাতা কি জয় ধ্বনিতে। এ বড় অন্যরকম মুহূর্ত। একটা ছোট্ট সাইকেল পর্যন্ত বাদ নেই, যেখানে পতাকা নেই।
উল্লেখযোগ্য যে, ফি বছরই স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকার চাহিদা থাকে। তবে মহামারি করোনা কালে তাতে ছেদ পড়েছিল। কিন্তু এবারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে পতাকার চাহিদা আরো বেড়ে গিয়েছে।