গুয়াহাটি: অসমের গুয়াহাটিতে নরবলির ঘটনা ঘটেছিল। সারা অসমে এই ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায়।
অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যায় পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলাকে নরবলি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ৪ বছর আগে ৷ এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গুয়াহাটি পুলিশ ৷
পুলিশ প্রধান দিগন্ত বরা মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন ৷
পাঁচ বছর আগের ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায় সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। ২০১৯ সালে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল সারা দেশ।
গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির চত্বরে একজন মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল মহিলাকে নরবলি দেওয়া হয়েছে।
সেই মহিলার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কিছু পূজার সামগ্রীও। ১৯ জুন, ২০১৯ সালে পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়। ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মৃত শান্তি শাউয়ের ছেলে মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে ঘটনার কথা জানতে পেরে জামাকাপড়, শরীরের ট্যাটু থেকে সেই মৃতদেহকে তার মায়ের বলে শনাক্ত করেন। পুলিশকে জানান, তিনি ২০১৯ সালের জুনের শুরুতে তার মা অম্বুবাচী মেলার উপলক্ষে কামাখ্যা মন্দিরে আসেন আর তারপর থেকেই মা নিখোঁজ।
জানা গিয়েছে, যারা ধরা পড়েছে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা ৷ মাতাপ্রসাদ পাণ্ডে (মধ্যপ্রদেশ), সুরেশ পাসওয়ান (গুয়াহাটি), প্রদীপ পাঠক ওরফে রাজু (মথুরা), কানু আচার্য ওরফে কানু তান্ত্রিক (গুয়াহাটি) এবং ভায়ারাম মৌর্য ওরফে রাজু বাবা ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৭ জন এখনও অধরা ৷