গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে উজান-নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় থেকে জল নেমে আসায় রঙানদী প্রকল্পের জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে শুরু করেছে।
এ অবস্থায় সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ রঙানদী প্রকল্পের জল ছেড়ে দেওয়ায় লখিমপুর জেলার ২০টির অধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
লখিমপুর জেলার নাওবৈচা অঞ্চলের অন্তর্গত ৯টি গ্রাম ক্রমে ১ নং এবং ২ নং দিজুপথার, দিজুচাপরি, ১ নং এবং ২ নং পাচনৈ, কুলাবিল ব্লক ইত্যাদি গ্রামের অসংখ্য লোক বন্যার কবলে পড়েছে।
রঙানদীর জলে ৯টি গ্রামের অধিক গ্রাম প্লাবিত করার সঙ্গে শিঙরা নদীর বাড়ন্ত জলে নাওবৈচার ১০টি অধিক গ্রাম প্লাবিত করেছে।
রঙানদী ও শিঙরা নদীর জলে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় বৃহৎ পরিমাণ কৃষিজমি বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে হাহাকার দেখা দেখা দেয়। বন্যার ফলে বিস্তীর্ণ গ্রাম বহির্জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বানভাসিদের মধ্যে খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য হাহাকার দেখা দেয়।
অন্যদিকে, শোণিতপুর জেলার গহপুরেও ভয়ানক বন্যায় বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল তলিয়ে যায়।
এদিকে, ভুটানের জল নেমে আসায় চিরাং, বাকসা জেলার বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোনাই ও বঙাইগাঁও জেলার অভয়াপুরিতেও বন্যার তাণ্ডব দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে যোরহাট জেলার ৩টি রাজস্ব চক্রের অন্তর্গত ১৬টি গ্রামের প্রায় ১৩ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের বাড়ন্ত জলে মাজুলি-নিমাতী সংযোগী ফেরি পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, তিতাবর রাজস্ব চক্রের অন্তর্গত ১৩ হাজার ২৭১ জন লোক বানভাসি এবং ৮০ হেক্টর কৃষি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে।
এছাড়াও পশ্চিম যোরহাট ও তিতাবরে ৫৫৮০ টি গবাদি পশু এবং ১৬৫০ পোলট্রির বন্যার জলে ক্ষতিসাধন হয়েছে।