নয়াদিল্লি: রিফ্রেশমেন্ট পানীয় হিসেবে ‘রুহ আফজা’র (Rooh Afza)কিন্তু জনপ্রিয়তা আছে। এটি পানীয়। তবে চাহিদা থাকলেই হয় না, তাই সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টের (delhi high court) তরফে নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট Amazon India -কে পাকিস্তানে তৈরি হওয়া ‘রুহ আফজা’ (rooh afza)ভারতের বিক্রির তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে বলেছে আদালত।পাকিস্তানে তৈরি হওয়া রুহ আফজা বিক্রি করা যাবে না।
উল্লেখ্য যে, 115 বছর ধরে ‘রুহ আফজা’ (rooh afza) বিক্রি হচ্ছে ভারতে। জানা গিয়েছে, হাফিজ আব্দুল মাজিদ নামে এক ব্যক্তি দিল্লিতে প্রথম এই পানীয় তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছিলেন।
তবে পরে দেশভাগ হলে ঐ ব্যক্তির দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে পাকিস্তানে চলে যায়। সেখানেই Hamdard প্রস্তুত করে, কিন্তু বড় ছেলে আগের নামে ‘রুহ আফজা’ (rooh afza) বিক্রি করতে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য যে, এই পানীয়টির ভারতীয় নির্মাতা ‘হমদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ আদালতকে জানিয়েছে , ভারতের ই-কমার্স সাইটে তালিকাভুক্ত কিছু ‘রুহ আফজা’ (rooh afza) হমদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ভারত) দ্বারা তৈরি নয়, এটি পাকিস্তানি সংস্থাগুলির তৈরি করা। যার বিবরণ পর্যন্ত প্যাকেজিংয়ে উল্লেখ করা থাকে না।
আর এহেন অভিযোগ আসার পর পরই আদালত সতর্ক হলো। এবং নির্দেশিকা জারি করেছে।
‘রুহ আফজা’ (rooh afza) আসলে কী?
‘রুহ আফজা’ পানীয়, যা আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। এটি তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের ভেষজ এবং ফলের মিশ্রণ দিয়ে। উত্তর ভারতে এর প্রচণ্ড চাহিদা আছে।আর পাকিস্তানে সাধারণত রমজানের রোজা ভাঙার সময় রুহ আফজা খাওয়া হয়।
মূলত ভারত, পাকিস্তনে তৈরি হয় ‘হমদর্দ ইন্ডিয়া’ এবং ‘হমদর্দ পাকিস্তান’ নামে দু’টি সংস্থা।এদিকে, ‘হমদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ আর ‘হমদর্দ ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়া’র দিল্লি হাই কোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন সংস্থা বেআইনি ভাবে অ্যামাজনে রুহ আফজা (rooh afza) বিক্রি করছে। দিল্লি হাই কোর্ট এই পিটিশনের জবাবে অ্যামাজনকে সতর্ক করেছে।
দিল্লি হাই কোর্টের বক্তব্য হচ্ছে, রুহ আফজা এমন এক পণ্য, যা ভারতীয় জনগণ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছে। ফলে এর খাদ্যমান নিয়ে কোন হেরফের মানা হবে না।জানা গিয়েছে,মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ অক্টোবর হবে। আর তার মধ্যেই আমাজনকে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।