ঘনঘন চুরি সহ বহির্ভারতে পশু পাচারের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কাছাড় পুলিশের ব্যর্থ। ফলে জনমনে ক্রমশ আতঙ্কের আবহ তৈরি হচ্ছে। কাছাড় জেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম কাটিগড়ার পাইকানে মহিষ বোঝাই লরি আটকের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
বাংলাদেশে পাচারের জন্য মহিষগুলি লরি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সমষ্টির পাইকান-দিগরখাল জিপির এপি সদস্য গৌতম বৈষ্ণব জানান সোমবার রাতে তিনি গুমড়া থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ পাইকান এলাকা পৌঁছানোর পর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির উপর আচমকা নজর পড়ে।
পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয় অভিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা এএস১১ডিসি ৯৯১২ নম্বরের লরিটির দিকে এগিয়ে কি আছে জিজ্ঞাসা করতেই চালক ও সহচালক পালিয়ে যায়। এতে সন্দেহ দাঁনা বাধে ওই পঞ্চায়েত্ প্রতিনিধির। তিনি সঙ্গে সঙ্গে গুমড়া পুলিশে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে গুমড়া পুলিশের ইনচার্জ রাজীব বর্মণ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরিটি তল্লাশি চালালে মহিষ পাচারের তথ্যটি সামনে আসে। লরিতে মোট ১১ টি মহিষ ছিল। পুলিশ লরি সহ মহিষগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এরআগেও ২১ মে রাত আটটা নাগাদ এএস ১১ বিসি ৬৮১১ নম্বরের ট্রাক থেকে ১২টি মহিষ আটক করেছিলেন দিগরখালের জনগন। পরে লরি সহ মহিষগুলি গুমড়া পুলিশের কাছে সমঝে দেওয়া হয়েছিল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন প্রায় প্রতি রাতেই ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে এই উপত্যকার গোবাদি পশু পাচার করা হচ্ছে। একটা বড়সড় সিণ্ডিকেট এর নেপথ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করে স্থানীয়রা জানান ওই রুটকে গরু- মহিষ পাচারের সেফজোন হিসাবে ব্যবহার করছে সমাজবিরোধীরা।
বরাক থেকে গরু মহিষ নিয়ে মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন এবিষয়ে জেনেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার জনগনের।
এক সপ্তাহের মধ্যে দু বার মহিষ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।