শিলচর: অসমের (Assam) chachar ওনজিসি ফরোয়ার্ড বেস যার নতুন নাম Assam আরাকান ফল্ট বেল্ট এক্সপ্লোরেটরি এ্যাসেট তার রাজস্ব আদায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এভাবে চললে আগামীতে অনুৎপাদনশীল বলে এটি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। আজ এই ব্যাপারে শ্রীকোনা ওনজিসি বেসের এ্যসেট ম্যানেজারের হাতে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র তুলে দিলেন Barak democratic front এর সদস্যরা।
পরে এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে এদিন তাঁদের এএএফবির এ্যসেট ম্যানেজার বিপুল গোঁহাই এর সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং তা থেকে পরিস্কার যে এই বেস থেকে উৎপাদনের কোন সমস্যা নেই।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে এর আগে দিল্লি থেকে আগত বিশিষ্ট ভূতত্ববিদ পি কে নন্দীও একই ব্যাপার উল্লেখ করেছিলেন এবং এতদঞ্চলের পেট্রোলিয়াম সম্পদের প্রতুলতাকে তিনি Arab দেশের সাথে তুলনা করেছিলেন।
জয়দীপ বলেন যে যেহেতু এখানে মূলতঃ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হয় ফলে তা সঞ্চয় বা ব্যাবহার করার মতো পরিকাঠামো না থাকলে উত্তোলন সম্ভব নয়।
রাজ্য সরকার এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন Assam গ্যাস এজেন্সিকে যারা আবার বরাকে এই কাজের বরাত দিয়েছেন পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সি নামক সংস্থাকে।
কিন্তু এই পুরো কাজটিই ঢিমেতালে চলছে। শিলচরে প্রতি গৃহে পাইপলাইন গ্যাস সংযোগ করার প্রস্তাব রয়েছে। রয়েছে সিএনজি প্ল্যান্ট তৈরির প্রস্তাব। এছাড়াও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভুত সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু কোন ব্যাপারেই সঠিক অগ্রগতি নেই। ফলে উৎপাদনের ব্যাবস্থা থাকা স্বত্তেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে স্থানীয় ওএনজিসি কতৃপক্ষকে। এতে তাদের রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকেছে এবং এই অবস্থা বেশিদিন চললে অনুৎপাদনশীল দেখিয়ে কাছাড় প্রকল্পকে বন্ধ করে দেবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
কারণ ইদানীং কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে উত্তর পূর্ব সহ বিভিন্ন রাজ্যগুলির তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করার কাজ চলছে যা আগামীতে সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে।
তাই এই উপত্যকার প্রাকৃতিক সম্পদ যদি এখানে ব্যাবহার করার মতো পরিকাঠামো না থাকে তবে তা দিয়ে অন্য রাজ্য লাভবান হবে। তাই এটি নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগের বিষয়। বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক এদিন এই ব্যাপারে বরাকের জনপ্রতিনিধিদের একহাত নিয়ে বলেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে যাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা নেবার দরকার ছিল তারা কার্যত নিশ্চুপ।
তিনি বলেন বরাকে যা প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার রয়েছে তার কিয়দাংশ সঠিকভাবে ব্যাবহৃত হলে এই উপত্যকার অর্থনীতি বদলে দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন এই শক্তির উৎস থেকে লাভবান হতে পারে চা বাগান থেকে শুরু করে সমস্ত শিল্প ক্ষেত্র।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হতে পারে বরাক। তিনি বলেন যাতে এখানে এই প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যাবহারের উপযুক্ত পরিকাঠামো সত্বর তৈরি হয় সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার উপর চাপ দিতে এখন থেকে উদ্যোগী হবে বিডিএফ। এই ব্যাপারে জনগনকেও সজাগ সরব হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।
এছাড়া এখানকার রিগগুলো অতি ব্যাবহারের ফলে নষ্ট হয়েছে। পুরোনো উৎপাদনশীল তৈলকুপ গুলির সঠিক রক্ষনাবেক্ষণ হলে পুনরায় উৎপাদন সম্ভব। এসব ব্যাপারেও অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্যোগী হবার দাবি জানান তিনি ।
এদিনের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন bdf মুখ্য আহ্বায়ক Pradip dutta roy সহ বিডিএফ যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত,মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে,যুবফ্রন্ট আহ্বায়ক দেবায়ন দেব প্রমুখ। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।