নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংক্ষেপে ক্যাব মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হওয়ার সাথে সাথে উত্তাল হয়ে উঠেছে অসম-ত্রিপুরা।
সোমবার অর্থাৎ আগামি ৯ ডিসেম্বর ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ১২ ঘন্টা অসম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সারা অসম চুতিয়া ছাত্র সংস্থা।
নৰ্থ ইষ্ট নাও’এর সঙ্গে হওয়া বার্তালাপে এই কথা স্পষ্ট করেছেন সংগঠনের রাজ্যিক সাধারণ সম্পাদক মহেন বরা।
সোমবার সকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৫ টা পর্যন্ত এই বন্ধ কার্যসূচির আহ্বান জানিয়েছে চুতিয়া ছাত্র সংস্থা।
বৃহস্পতিবার সারা অসম ছাত্র সংস্থা এবং কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি অন্যদিকে ত্রিপুরায় আইএনপিটি (ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য।
আইএনপিটি প্রতিবাদে ত্রিপুরায় অচল হয়ে পড়ে রেল ও সড়ক।
এদিকে গুয়াহাটিতে আসু ও কেএমএসএস–এর বিক্ষোভ সমাবেশ জনজোয়ারের চেহারা নেয়।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে গুয়াহাটিতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের বলি হয়ে শরণার্থী হয়ে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন, শিখ ও বৌদ্ধদের শর্ত সাপেক্ষে নাগরিকত্ব দিতে বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন বিল অনুমোদন করে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বিলটিতে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) সুবিধাভুক্ত রাজ্যগুলির পাশাপাশি আদিবাসী এলাকাকে ক্যাব–এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
ইনার লাইন পারমিটের মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম।
এই ক্যাব আলোর দিশারি নয়, বরং আরো কালো মেঘ ঘনিয়ে আনছে হিন্দু বাঙালির জীবনে। অর্থাৎ, উত্তর–পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় হিন্দু বাঙালিরাও ব্রাত্য।
এনআরসি এমনিতেই হিন্দু বাঙালিকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। ঘুম-খাওয়া উবে গেছে বাঙালির।
রাজ্যে রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বারবার বিজেপি–র নেতা ও মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছে, এনআরসি হবে গোটা দেশে। সঙ্গে অভয়বাণী, হিন্দুদের জন্য থাকবে ক্যাব। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ বাড়াচ্ছে ক্যাব।
কারণ ক্যাব–এর রক্ষাকবচ তাঁদের কাজে লাগবে না। বিজেপি–র বিরুদ্ধে উঠছে প্রতারণার অভিযোগ।
অর্থাৎ, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের হিন্দু বাঙালিদের ক্ষেত্রে ক্যাব প্রযোজ্য নয়। আবার অন্য রাজ্যগুলিতেও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত বা স্বশাসিত জেলাগুলিতে, আদিবাসী এলাকায় ক্যাব কার্যকর হবে না। অর্থাৎ, উত্তর–পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় হিন্দু বাঙালিরাও ব্রাত্য।
এনআরসি এমনিতেই বাঙালিদের অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলেছে অসমে। রাজ্যে রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বারবার বিজেপি–র নেতা ও মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছে, এনআরসি হবে গোটা দেশে। সঙ্গে অভয়বাণী, হিন্দুদের জন্য থাকবে ক্যাব। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ বাড়াচ্ছে ক্যাব।
সবচাইতে বড় কথা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পাশাপাশি শুরু হয়েছে আরেক বাঙালিনাশা কর্মসূচি।
মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম বা অরুণাচল প্রদেশে আগে থেকেই সেটা চলে আসছিল।
এবার অসমেও বাঙালি হারাতে বসছে ভূমির অধিকার।
জমির ওপর অধিকার অসমের বিজেপি সরকার শুধুমাত্র খিলঞ্জিয়াদেরই দিতে চাইছে।