অসমের শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ অসমিয়াকে বিষয় হিসেবে রাখায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ল। বিধানসভায় অসমিয়া ভাষা নিয়ে যে আইন পাশ করা হয়েছিল, সেখানে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেছেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত কেবল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ক্ষেত্রে। বরাক উপত্যকা যথারীতি বাংলা ভাষা থাকবেই। সেখানে হাত দেয়া সম্ভব নয় সরকারের। এছাড়াও বড়োল্যান্ডে বড়ো ভাষাই থাকছে।
কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।
প্রাদেশীকৃত মহাবিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী বিনামূল্যে ভর্তি হওয়ার সুবিধা লাভ করবে।
“আগে শুধু দরিদ্র সীমার নিচের ছাত্র-ছাত্রীরা লাভ করতেন এই সুবিধা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ফলে রাজ্যে হওয়া আর্থিক ক্ষতির জন্যে বিপিএল, এপিএল ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকে লাভ করবেন এই সুবিধা।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন।
অসমের প্রত্যেক প্রাদেশীকৃত উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত এই সুবিধা লাভ করবে।
ড০ শর্মা আরো বলেন, “চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং/অভিযান্ত্রিক মহাবিদ্যালয়, কৃষি মহাবিদ্যালয় সব শিক্ষানুষ্ঠানে নামভর্তি হবে বিনামূল্যে। যদি মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ বা কৰ্তৃপক্ষ এডমিশনের সময় কোনপ্রকার অজুহাত দেখিয়ে মাশুল আদায়ের চেষ্টা করেন, তাহলে নির্দিষ্ট শিক্ষানুষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই শিক্ষক হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, “সরকার কোনদিন বলেনি যে, টেট উত্তীর্ণ হলেই সরকারি চাকরি প্রদান করবে। টেট মাত্র একটি যোগ্যতা। শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে মাত্র। সকলেই যে চাকরি পাবেন। সেটা নয়। যখন পদ খালি হবে বিজ্ঞাপন বের হবে, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।”
এদিকে, চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত আন্তঃজেলা বদলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিগত দু-বছরের ভিতর যে শিক্ষকরা আন্তঃজেলা বদল হয়েছেন তাঁদের অবৈধ বিবেচিত করা হবে। তাঁদের ৭২ ঘন্টার ভিতর পূর্বের বিদ্যালয়ে আবার ফিরে যেতে হবে।