ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সমান্তরাল উন্নয়ন হবে বরাক উপত্যকার। আর গ্রাম ও শহরের একসঙ্গে উন্নয়ন হলেই অসমের উন্নয়ন সম্ভব। হাইলাকান্দির নেহরু শিশু উদ্যানের পুনর্নির্মাণের শিলান্যাস ও হার্টবার্ডগজ্ঞ বাজারে নবনির্মিত ফিশসেডের উদ্বোধনী শেষে এই কথা বলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা।
প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি সফরে আসেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা।
এদিন সন্ধ্যায় আবর্ত ভবনে উপস্থিত হলে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেন জেলাশাসক কীর্তি জালি। পরে রাত সাতটা নাগাদ একাদশ শহিদ সরণির নেহরু শিশু উদ্যানকে নতুন করে তৈরি করার জন্য শিলান্যাস করেন। এক কোটি টাকা ব্যয়ে নেহরু শিশু উদ্যানের শিলান্যাস পর্ব শেষে হার্টবার্ডগজ্ঞ বাজারে এক কোটি আশি লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফিশসেডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাছাড়ের বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাই, তিন বিধায়ক কিশোর নাথ, মিহির কান্তি সোম, কৃষ্ণেন্দু পাল, সাংসদ কৃপানাথ মালাহ, বিজেপি নেতা গৌতম রায়, হাইলাকান্দির জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত কুমার নাথ, এপিডিসিএল ডিরেক্টর নিত্যভূষণ দে সহ অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীরা।
রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ হাইলাকান্দি পুরসভার পক্ষ থেকে বিভাগীয় কার্যালয় চত্ত্বরে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের। জেলাশাসক কীর্তি জালির পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা শুরুতেই জানিয়ে দেন, পুরসভা এলাকার নাগরিকদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে অর্থের কোনও অভাব হবে না। তবে পুরসভাকে কাজ করার আন্তরিক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে গিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার শহরগুলোর উন্নয়ন হলেই চলবে না একসঙ্গে বরাক উপত্যকার শহরগুলোরও উন্নয়ন করতে হবে। দুই উপত্যকার শহরের সমানতালে উন্নয়নের গতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর শহর ও গ্রামের উন্নয়ন হলেই গোটা অসমের উন্নয়ন সম্ভব।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা বলেন, হাইলাকান্দি শহরের সড়ক সংস্কারে ইতিমধ্যে দুই কোটি বিরাশি লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। নালা-নর্দমার সংস্কারে এক কোটি দেওয়া হয়েছে। হাইলাকান্দি শহরের জন্য ১০ টি টাওয়ার লাইট দেওয়া হবে শীঘ্রই। চলতি বছরের ডিসেম্বরে হাইলাকান্দিতে সোলার লাইট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অবশ্য মন্ত্রী জানান, অসমের ৯৭ টি শহরের জন্য সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুশির খবর দিয়ে তিনি বলেন, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের অধীনে রাজ্যে ৮ টি শহরকে মডেল শহর হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। এই আটটি শহরের মধ্যে হয়েছে হাইলাকান্দি শহরও। হাইলাকান্দি শহরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য টাকার অভাব হবে না একথা জানিয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলে দেন, শহরকে সাজিয়ে তুলতে কোনও খামখেয়ালি তিনি বরদাস্ত করবেন না। আর পুরসভা কর্তৃপক্ষ কোনও কাজের গাফিলতি পেলে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেবেন। তবে হাইলাকান্দি শহরকে সাজিয়ে তুলতে পুরসভাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তিনি উপস্থিত নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংসদ কৃপানাথ মালাহ, গৌতম রায়, হাইলাকান্দি বিজেপি সভাপতি সুব্রত কুমার নাথ প্রমুখ। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক কীর্তি জালি।