বিশিষ্ট বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবী তথা সিপিআই(এম) দলের প্রবীণতম সদস্য অনিল রায়চৌধুরি আজ ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুকে আঁকড়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার, সকাল ৪টায় গুয়াহাটি-চানমারির নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত দু-দিন থেকে তাঁর শরীরের বেশি অবনতি হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য যে যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানমনস্ক মনের অধিকারী অনিল রায়চৌধুরি মরণোত্তর নেত্রদান এবং দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেছিলেন।
তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রদান সম্ভব হবে না জানা গেছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেই চোখের কর্ণিয়া সংগ্রহে বাধা রয়েছে।
তাঁর মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা চলছে যদিও এখনো কোন কথা নিশ্চিত হয়নি।
১৯২৬ সালের ২৭ আগষ্ট অনিল রায়চৌধুরির জন্ম হয়।
১৯৬৭ সাল থেকে রায় চৌধুরি নীলাচল, মণিদীপ, অসমিয়া, আবাহন ইত্যাদিতে সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন প্রচুর।
১৯৭১ সাল থেকে তিনি ‘নতুন পৃথিবী’র সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নতুন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাপক সদস্য ছিলেন।
চিনা লোকের ওপর অত্যাচারকে কেন্দ্র করে ১৯৬৮ তে তিনি শত্রু উপন্যাস লিখেছিলেন। রায়চৌধুরি ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে জড়িত হয়ে বহুবার জেল খেটেছেন।
চাকুরি কালে তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি সংন্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।
অল ইণ্ডিয়া ইউনির্ভাসিটি কনফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন রায়চৌধুরি।