‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারত আমাদের সঙ্গে আছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব চমৎকার। ভারত আমাদের বন্ধু। কিন্তু এনআরসি নিয়ে উদ্বেগের ব্যাপারে আমি বলতে পারি যে, ১৯৭১ সালের পর কেউই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়নি। আমি মনি করি না যে, ভারত সরকার কাউকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেবে।’
অসমের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা নিয়ে নিজস্ব দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
উল্লেখ্য, অসমে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ জনের নাম ।
দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত চূড়ান্ত এই নাগরিক তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জন মানুষ। এর মধ্যে ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন নাগরিক এনআরসি তালিকায় নিজেদের নাম খুঁজে পেলেও বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। এমনকি আশ্চর্যের বিষয় হল স্বয়ং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তির পরিবারের মোট ১৯ জন সদস্যের নাম নেই চূড়ান্ত তালিকায়!
চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী নিয়ে অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদ শনিবার ‘ভারতের বন্ধু বাংলাদেশ এবং তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা যখনই অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থাপন করেছি, তখনই তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। এই সংখ্যা খুব বেশি নয়, তবে বর্তমানে আমরা তাদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
এছাড়া মন্ত্রী হিমন্ত বলেছেন, বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে তাদের জনগণ ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলা হবে।
এর জোর প্রতিক্রিয়া করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই। আমি আবারও বলছি, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে কে কী বলেছেন, আমি জানি না। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বললে, আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব। তবে আমি মোটাদাগে যা বলতে পারি, ১৯৭১ সালের পর কেউই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়নি। তারা ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে (প্রধানত বাঙালিরা) আসামে ঠাঁই পেয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নয়।’
সূত্রঃ নিউজ ১৮