অসমের গোয়ালপাড়ায় ঘটে গেল এক ভয়ংকর ঘটনা। ৬৫ বছরের দাদুর বয়সী কিংবা বাবার বয়সী এক বৃদ্ধ অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করেছেন। কিশোরীটি বর্তমানে ৬ মাসের গর্ভবতী।
নৃশংস পাপকাণ্ড সংঘটিত করা বিকৃত মস্তিষ্কের সেই ব্যক্তির নাম দুলালুদ্দিন শেখ।
কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে শেখকে বৃহস্পতিবার ধূপধরা পুলিশ গ্রেপ্তার করে শ্রীঘরে প্রেরণ করেছে।
অভিযুক্ত দুলালুদ্দিন বরদল প্ৰথম খণ্ডের বাসিন্দা। তিনি মেয়েটির মুখ চাপা দিয়ে বাড়ির পিছনে নিয়ে ধর্ষণকাণ্ড সংঘটিত করেছেন।
কিশোরীর মায়ের থানায় দেয়া এজাহারে জানিয়েছেন, “আমার মেয়েটিকে বলপূর্বক ধর্ষণ করেছে শেখ। এবং রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাঁদের দমিয়ে রেখেছিল শেখ যে এই কথা সমাজে জানাজানি হলে তাঁদের হত্যা করা হবে।”
প্রাণের ভয়ে নির্যাতিতার পরিবারপক্ষ থেকে বিকৃতকাম শেখের বিরুদ্ধে কোনরকম অ্যাকশান নেয়া হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ভয় দূরে সরিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের মা।
ধর্ষক শেখের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির বেশ কয়েকটি ধারার পাশাপাশি পক্স’ আইন (Prevention of the Children from the Sexual Offences) এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই তটস্থ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। সমাজে নারী-পুরুষের একটি সম্মানজনক স্থান রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেসব ঘটনা সংঘটিত হয়ে চলেছে, তাতে কোন নারীই পুরুষজাতিকে আর বিশ্বাসের চোখে দেখতে পারবে না। কারণ তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সম্মান হারাচ্ছেন। যেখানে বাবার লালসা থেকে মেয়ের মুক্তি নেই, শিক্ষকের হাত থেকে ছাত্রীর মুক্তি নেই, দাদুর হাত থেকে মুক্তি নেই নাতনির। সে স্থানে সমাজের নারীরা কি করে পুরুষদের সম্ভ্রমের চোখে দেখবে? অঞ্চলবাসীদের অধিকাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর নিজেরাই খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে!