অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
রাজ্যের ২৭টিরও অধিক জেলা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ধেমাজি, লখিমপুর, দরং, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, শিবসাগর, তিনসুকিয়া, বাক্সা, বরপেটা, যোরহাট, নলবাড়ি, চিরাং, বঙাইগাঁও, হোজাই, গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়, মাজুলি, কামরূপ, কাছাড়, ধুবড়ি, গোলাঘাট, পশ্চিম কার্বি আলং।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ। প্রায় ৫০০ এর কাছাকাছি আশ্রয় শিবিরে স্থান নিয়েছেন লক্ষ মানুষ। নেই বিশুদ্ধ পানীয় জল নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার। বন্যার্তদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে।
হাজার হাজার হেক্টর কৃষিভূমি থেকে শুরু করে গবাদি পশু ভেসে গিয়েছে বন্যার জলে।
এখন পর্যন্ত রাজ্যে বন্যায় ৭ জন লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গুয়াহাটিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার পাশাপাশি বরাক উপত্যকাও বন্যার কবলে পড়েছে।
অন্যদিকে, কাজিরাঙা, ওরাং, পবিতরা অরণ্যের সিংহভাগই জলের তলায়। ফলে বন্যপ্রাণীরা আশ্রয়স্থলের অভাবে দিশেহারা।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার ও প্রশাসন।
উদ্ধার অভিযানে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী।