কলকাতা পাতাল রেলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সজল কুমার কাঞ্জিলালে পাশে দাঁড়ালেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় ।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন সাংসদ মালা ।
মেট্রোয় এই প্রথম এমন ঘটনা সংঘটিত হল । নিহত সজলবাবুর বিদেহী আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রসঙ্গত, শনিবার পার্কস্ট্রিট স্টেশন থেকে মেট্রোয় উঠতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত সজলবাবুর হাত দরজায় আটকে যায়, কিন্তু শরীর থেকে যায়। এ অবস্থায় মেট্রোর দরজা যদিও খুলে যাবার কথা, কিন্তু তা খোলেনি । সেন্সর কোন কাজ করেনি ।
যাত্রীরা আপৎকালীন অ্যালার্ম বাজাতে থাকলেও চালক-গার্ড কারুরই হুশ ছিল না । সজল কুমারকে ওই ঝুলন্ত অবস্থাতেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চলে মেট্রো ।
ধাক্কা খেতে খেতে কোন এক সময় হাত বের হয়ে থার্ড লাইনে পড়ে মর্মান্তিকভাবে জীবনটা শেষ হয়ে গেল সজল কুমার কাঞ্জিলালের ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মেট্রোর চালক-গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।
যতই সাসপেন্ড করা হোক, বা নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হোক। একজন মানুষের জীবন কী আর ফিরিয়ে আনা যাবে ? প্রশ্ন উঠেছে এখানেই ।
যাত্রীদের মধ্য থেকে আতংক কাটছে না । কেউ আর বিশ্বাস করতে পারছেন পাতাল রেলকে । কারণ যতই সুরক্ষার আশ্বাস দেয়া হোক,ফের যে এমন ঘটনা ঘটবে না , তার কি নিশ্চয়তা রয়েছে ?