‘আমরা ভারতের ১ নম্বর বন্ধু। আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং ভারত এটা থেকে মুক্ত হবে।’ রবিবার ভারতের বর্তমান সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে ক্ষোভ, যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
রবিবার সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী মোমেন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান ভারতজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই আশা ব্যক্ত করেছেন।
পাশাপাশি এও জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আমাদের কোনও বিষয় নয়। এটা তাদের ফয়সলা করা উচিত।”
তিনি বলেন, “ভারতে যদি কোনও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তাহলে প্রতিবেশীদের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল, তখন এটি অনেক দেশের ওপর প্রভাব ফেলেছে। কারণ আমরা গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে বসবাস করছি। যে কারণে আমরা আশঙ্কা করছি যে, ভারতে যদি কোনও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তাহলে এটি প্রতিবেশীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা উদ্বেগজনক। আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং ভারত এটা থেকে মুক্ত হবে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আমাদের কোনও বিষয় নয়। এটা তাদের ফয়সলা করা উচিত।”
ঘুরিয়ে নিজেদের স্থিতি কিন্তু আগেও প্রকাশ করার পর ফের আরোএকবার রবিবার জানিয়ে দিল বাংলাদেশ।
উল্লেখযোগ্য যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পূর্বে যারা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিস্টান, শিখ, জৈন ধর্মাবলম্বীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
সিএএ’তে কোন মুসলিম শরণার্থীর নাম না থাকায় সারা ভারতে প্রতিবাদ সহিংসরূপ ধারণ করেছে। এমনকি অধিকাংশ দেখা যাচ্ছে কোন কোন রাজ্যে, প্রতিবাদকারীরা প্রতিবাদের কারণ পর্যন্ত ঠিকভাবে বলে উঠতে পারছেন না। এই অজানা আরো অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে দিন দিন।
আবদুল মোমেন আরো বলেন, ‘সিএএ এবং এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। তারা আইনি এবং অন্যান্য কারণে এটির বাস্তবায়ন করছে।’