বিদ্যাসাগর ‘খুন’ হওয়ার পর তাঁর ‘চতুর্থী’ পালন করলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে এভাবেই দেখছেন ক্ষীরপাই শহরে অবস্থিত ভট্টাচার্য পরিবার।
‘খুন’ বা অপঘাতে মৃত্যু হলে হিন্দু রীতিতে চারদিনে পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আর সেটাই করলেন ভট্টাচার্য পরিবার।
১৮৩৪ সালে ক্ষীরপাই শহরের ভট্টাচার্য পরিবারের কন্যা দীনময়ীকে বিয়ে করেছিলেন ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামের ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে ইশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত মঙ্গলবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখার পর মর্মাহত ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ছিল মঙ্গলবার। অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য জড়ো হয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তখনই সংঘর্ষ বাঁধে।
দু-দলের সংঘর্ষে ভেঙে দেওয়া হল ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি। এর পরই প্রতিবাদের ঝড় উঠে বাংলায়।