মানুষের শেষ পরিচয় মনুষ্যত্ব। জাতি-ধর্ম নয়। তিনি কতখানি মানুষ সেটাই চূড়ান্ত কথা। সেই প্রমাণই দিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের অন্তিম সম্বল জমিটুকু তিনি দান করে দিলেন কবরস্থানের নামে। মানুষের সেবায়।
বয়স ৭৯ বছর। চুল ধবধবে সাদা। গায়ের বর্ণ দুধে-আলতা। সরকারি চাকুরি করতেন একসময়। অবসর নিয়েছেন আজ থেকে ১৯ বছর আগে, ২০০০ সালে। সমাজ সেবাই তাঁর জীবন।
এর পূর্বে পূর্ণিমা দেবী নিজের সঞ্চয়ের টাকা দান করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘে।
এবার নিজের ১২ কাঠা জমি দান করলেন কবরস্থানের জন্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমির অভাবে গ্রামের মানুষদের বড্ড কষ্টে দিন কাটছিল। কোন মানুষ বা সরকার এগিয়ে আসেনি এক কাঠা জমিও কবরস্থানের জন্যে দান করতে। তাই এতকাল তাঁরা আত্মীয় স্বজনের মৃত্যুর পর বাড়ির উঠোনেই কবর দিয়ে এসেছেন। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিলেন পূর্ণিমা দেবী।
মানব দরদী পূর্ণিমা ব্যানার্জী এই মর্মান্তিক সংবাদ পাওয়ার পরই নদীর পাড়ে ১২ কাঠা জমি দান করলেন কবরস্থান নির্মাণের জন্যে।
বর্তমানে তাঁর সম্বল পেনশনের কিছু টাকা। কিন্তু তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই পূর্ণিমা দেবীর। থাকবেই বা কেন ? যিনি মানুষের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়ান, তাঁর আবার দুঃখ কিসের !
পূর্ণিমা দেবী ! জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই বৃষ্টি বর্ষণ করে চলেছেন। সে বৃষ্টি কাঁটা গাছ বা ফুল গাছের বিভেদ মানে না।