নয়াদিল্লি: তসলিমা নাসরিন! সারা বিশ্বে সমাদৃত এবং একইসাথে বিতর্কিত একটি নাম। এই বাংলাদেশী লেখক নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত, নির্বাসিত পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তবে তিনি লিখছেন এই বাংলায় লেখেন, তিনি বাঙালি লেখক।
তসলিমা নাসরিনের সাজগোজের ছবি খুব দেখা যায় না। তবে তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন।পরনে বেনারসি। গা ভর্তি সোনার গয়না, কপালে লাল টিপ আর চন্দন, খোঁপা বাঁধাচুলে নতুন কনের সাজে ভারী মিষ্টি লাগছে তাঁকে।
কাজল কালো চোখেই মন আটকাবে সবার।
তিনি লিখেছেন, ইন্দিরা রোড, ঢাকা। ১৯৮৫। না, সেদিন আমার বিয়ে হয়নি। ঘটা করে বিয়ে আমি করিনি কোনওদিন। তবে ইচ্ছে হয়েছিল লাল বেনারসি পরে সাজতে। সেজেছিলাম।
আরো লেখেন আজ,
জীবনে ওই একদিনই ওভাবে সেজেছিলাম। ওই একদিনই। না, ওটা কোনও বিয়ের উৎসব ছিল না। সালটা হয়তো ১৯৮৫ । তারিখটা হয়তো ১১ জানুয়ারি। এর আগের কোনও এক ১১ জানুয়ারির স্মৃতি মোটেও সুখের ছিল না বলেই হয়তো দিনটিকে সুখের করতে চেয়েছিলাম সে বছর।
আমরা, আমি আর রুদ্র, হাতে লেখা একটি নিমন্ত্রণপত্র কয়েকজনকে পাঠিয়েছিলাম, ওতে লিখেছিলাম –‘আমরা জ্বালাবো আলো কৃষ্ণপক্ষ পৃথিবীর তীরে, জীবনে জীবন ঘষে অপরূপ হৃদয়ের আলো।’ আলো কেন শেষ অবধি দু’জন মিলে জ্বালানো হয়নি, সে গল্প আমার আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড ”উতল হাওয়া”য় বলেছি। কিছু আত্মীয় আর বন্ধু নিয়ে সেদিন ঢাকার একটি চৈনিক রেস্তোরাঁয় খেয়েছিলাম। একটি ফটো কত কিছু মনে করিয়ে দেয়।
একটি আশার কথা, আলো আমি একাই জ্বালিয়েছি কৃষ্ণপক্ষ পৃথিবীর তীরে। কারও জীবনের সঙ্গে জীবন ঘষে হৃদয়ের আলো জ্বালানো হয়নি, সে না হোক, একার হৃদয়ের আলো কম উজ্জ্বল নয় কিন্তু।