কলকাতাঃ বর্তমানে নানা দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের (TMC)একাধিক নেতা, মন্ত্রী জেলবন্দি। কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থার আঁতস কাঁচের নিচে রয়েছেন একাধিক নেতা মন্ত্ৰী এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। তারমাঝে বিরোধী দলগুলির একের পর এক কটাক্ষ অব্যাহত রয়েছে।
বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রীতিমতো নাম উল্লেখ করে এক জনসভায় মন্তব্য করেন, কলকাতার মেয়র তথা পশ্চিমবঙ্গের আরেক হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim)জেলে যাবেন। শুক্রবার তার পালটা দিলেন ফিরহাদ হাকিমও। বিধানসভার সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর সাফ জবাব, ”জেলে যেতে ভয় পাই না। সুকান্তবাবু নিজে আসুন, আপনার এজেন্সি নিয়ে। আপনি নিজে আমাকে ধরে নিয়ে যান জেলে। কিন্তু সম্মানহানি করবেন না।” সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেও দুষলেন।
এসএসসি মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দী রয়েছেন। আরেকজন প্ৰভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হেফাজতে জেলবন্দি রয়েছেন গরু পাচার মামলায়।
তাঁদের কথা উল্লেখ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)বলেছিলেন, ”এবার হাকিমকেও জেলে ঢোকাতে হবে, ওঁকে প্রস্তুত থাকতে বলুন।” এই হুঁশিয়ারির পালটা জবাবও শুনতে হল তাঁকে। ফিরহাদ হাকিমের সাফ বার্তা – তাঁকে জেলে নিয়ে যান। কিন্তু মানহানি যেন না করা হয়।
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ভূমিকা নিয়েও সুর চড়িয়েছেন Firhad Hakim। তাঁর কথায়- উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। তৃণমূলে থাকলেই সবাই চোর আর অন্য দলে থাকলে সাধু? প্ৰশ্নবান ছুড়েছেন তিনি। সুকান্তবাবুদের দলে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকলেই সবাই সাধু হয়ে যায়। তিনি প্ৰশ্ন তুলে বলেন- বিজেপিতে কি সবাই সাধু? তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হয় না কেন? শুধু অবিজেপি নেতাদের ধরে ধরে মামলা দেওয়া কেন?” এরপর সুকান্তবাবুকে আরেকপ্রস্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন যে তিনি আদালতের নির্দেশে জেলে ছিলেন, হাসপাতালে ভরতি হয়ে থাকেননি। তাই জেলের ভয় যেন না দেখানো হয়।