জাতীয় পর্যায়ে কলকাতা সম্প্রতি সুনাম অর্জন করেছে ‘গাছ লাইব্রেরি’ নির্মাণ করে। এবার কেবল ভারত নয়, সারা বিশ্বে কলকাতার নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই হল আরও একবার। বাগবাজারের গৌড়ীয় মিশনে গড়ে উঠেছে বিশ্বের প্রথম ‘শ্রী চৈতন্য সংগ্রহশালা’।
আগামি ১৩ আগস্ট বাগবাজারের গৌড়ীয় মিশনে এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪ তলা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সংগ্রহশালাটি নির্মাণ করতে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
সংগ্রহশালার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। স্থাপন করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
মিউজিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসবের মাঠে। ওপার বাংলা, সুদূর লন্ডন এবং আমেরিকা থেকে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ভক্তরা আসবেন কলকাতায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল বিচারপতি শ্যামল সেন, সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি, বিজ্ঞানী ও যাদুঘর বিশেষজ্ঞ ড. সরোজ ঘোষসহ সন্ন্যাসী-মহারাজরা।
শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণাবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নীচু-উঁচু, সমাজের সকল শ্রেণীর কানে ‘হরে-কৃষ্ণ’ মহামন্ত্র দিয়েছিলেন। যে মন্ত্রে অন্তরের কলুষতা দূর হয়। যে মন্ত্রে জগাই-মাধাই দুর্বৃত্তরা সাধু হয়।
সমাজে চণ্ডাল-ব্রহ্মণের মধ্যে কোন ভেদাভেদ তিনি দেখেননি। হরি ভক্তি থাকলে চণ্ডালও ব্রাহ্মণের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘চণ্ডালোপি দ্বিজশ্রেষ্ঠ হরিভক্তিপরায়ণঃ’।