পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় যৌতুকের শিকার গৃহবধূ ! বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল সন্তোষি্কে। এপার–ওপার দু-বাংলাতেই যৌতুক এক সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, মৃতা সন্তোষি প্রামাণিকের বিয়ে হয় সাড়ে সাত বছর পূর্বে উত্তম প্রামাণিকের সঙ্গে। বিয়ের আগেও সন্তোষির পরিবার থেকে দাবী অনুযায়ী পণ নিয়েছিলেন উত্তমের পরিবার। কিন্তু তাতেও ক্ষুধা মেটে না। নতুন করে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী সন্তোষির ওপর শারীরিক–মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করে্ন স্বামী। এবার আর নির্যাতন নয়। রিপুর তাড়নায় সন্তানের সামনেই স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন নরপিশাচ উত্তম ! ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনহুগলিতে এ ঘটনা ঘটে।
জীবন বাঁচাতে সন্তোষি পুকুরে ঝাঁপ দেন, কিন্তু শেষরক্ষা পেল না জীবন। অকালে চলে গেল প্রাণ।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক হত্যাকারী উত্তম সহ পরিবারের অন্যান্য অভিযুক্তরা। হত্যা ঘটনায় সন্তোষির মা তাঁর শাশুড়ি এবং পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। আজ রবিবার সন্তোষির মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে, জানায় হুগলি পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা শুরু করা হয়েছে।
যৌতুক নামক সামাজিক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী, কোথাও প্রকাশ্যে! কোথাও অপ্রকাশ্যে। দেশে কত সন্তোষি প্রাণ হারাচ্ছেন প্রতিদিন। ধরা পড়ছে ক’জন ? পণের জন্যে ২০১৫ সাল থেকে ৭৬ হাজারেরও বেশি নববধূকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ভারতে। যেখানে অভিযুক্তদের মাত্র ৩৫ শতাংশের সাজা হয়েছে ! এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বরপক্ষের দাবিমতো পণ না দিতে পারার জন্যে গোটা ভারতে প্রতিদিন গড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন ২০ জন গৃহবধূ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হিসেব অনুযায়ী , যৌতুকের কারণে ২০১৬ সালে ১৭৩ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৩২৬ টি। এছাড়া বছর বছর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে।