‘এবার আমাদের ভোট নোটায়’। রাজ্যে কাদের ভোটগুলো নোটায় গেল ?
যদিও কেউ প্রকাশ করেন না ভোট কাকে দিলেন । কিন্তু যন্ত্রণা কোন আইন মানে না। এক তথ্যে জানা গেছে, একজন বলছেন “এবার আমরা ঠিক করেই নিয়েছি, সবাই নোটায় ভোট দেব।” সবাই নোটায় দিয়েছেন? “সব্বাই কিনা জানি না, তবে বেশির ভাগ।”
আজ শেষ দফায় ভোট কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ।
সোনাগাছি এলাকা যৌনকর্মীদের অধিকাংশের কেন্দ্র হল কলকাতা উত্তর ।
কিন্তু সোনাগাছির যৌনকর্মীদের এই পুঞ্জীভূত রাগ কার ওপর ? জানালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী শিউলি রায় । তিনি বহু পূর্বে এই পেশায় ছিলেন, কিন্তু এখন আর নেই। তিনিই জানিয়েছেন- ,
“সারা বছর এখানকার মেয়েদের কোন দল খোঁজ নেয়? কোন নেতা আসে? কেউ না। আসে খালি ভোটের সময়ে। এখানকার ছবি নিয়ে অস্কার পাওয়া যায় কিন্তু এ পাড়ার ছবি বদলায় না। রোগ ভোগ, তোলাবাজি সব কিছু নিয়ে নিজেদের লড়াই নিজেদের লড়তে হয়। কে সরকারে এল, কে গেল তা নিয়ে আমাদের কিছুই যায় আসে না। তাই ভোট নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। ভোট দিতেই হবে। না হলে অত্যাচার হবে। তাই নোটা। অনেকেই ঠিক করেছে এবার ভোট নোটায়।”
শুধু তাই নয়, সোনাগাছির যৌনকর্মীরা এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে নিজের শ্রমের মর্যাদাটুকুও পাননি । ১ মে’ বিশ্ব শ্রমিক দিবসের দিন সমগ্র সোনাগাছি আন্দোলনে মুখর হয়ে উঠেছিল ।
কিন্তু নোটা কি তাঁদের অধিকার, দাবি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবে ?