নির্বাচনী সভায় যাওয়ার পথে হামলার শিকার হলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার ডুয়ার্সের চ্যাংমাড়ি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হয়েছেন রূপার দেহরক্ষী। এ ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ি করেছেন সাংসদ রূপা।
এদিন, বিকেল ৫ টা নাগাদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় মালবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন এক সভা করতে। তাঁর গাড়ি চ্যাংমাড়ি এলাকায় পৌঁছলে হামলার কবলে পড়তে হয়। তথ্য মতে, ওই এলাকায় পৌঁছে রূপা দেখতে পান, সেখানে তৃণমূলের একটি সভা চলছে।এবং রাস্তা জুড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বেশ কিছু মোটর সাইকেল। পাশ দিয়ে কোনও ভাবে গাড়ি না যাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে মোটর সাইকেলগুলোকে সরাতে বলেন। সেই সময় সভায় উপস্থিত লোকের রোষের মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে অনেকেই। পরে রূপার গাড়িতে আক্রমণ চালায় কিছু লোক।
গাড়িকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়াছুড়িও শুরু হয়। এতে গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়।আহত হন রূপার দেহরক্ষী।এরপর নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্যে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে আসেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর, ক্রান্তি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করাতে গেলে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে রাজি হননি। পরে অবশ্য রাজ্যসভার সাংসদ পরিচয় পাওয়ায় অভিযোগ নেয় পুলিশ।
এ ঘটনায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ রূপা। তাঁর কথায়, যেখানে একজন সাংসদ আক্রান্ত হতে পারে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এসব মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়াও তিনি এদিন তৃণমূলকে নিশানায় করে বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই এমন কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ওই সভায় বেশি লোকের সমাগম ঘটে নি, এছাড়াও, তিনি নামতেই, সভার লোকজন চলে আসায় তৃণমূল নেতা–কর্মীদের আরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।
এদিন, রূপার সঙ্গে ছিলেন, জলপাইগুড়ি জেলার মহিলা মোর্চার সভাপতি টিনা গঙ্গোপাধ্যায়। ঢিলের আঘাতে তিনিও অল্প আঘাত পান। অভিযোগ দায়ের করার পর প্রচার সভার উদ্দেশে রওয়ানা হন সাংসদ গঙ্গোপাধ্যায়।