“ধর্ম যাই হোক না কেন, প্রথম পরিচয় বাঙালি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের (১৯৭১) সময় প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের মানুষ তাদের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতা তথা ভারতের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।” ভারতের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধঃ কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেস ক্লাব কলকাতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হাছান মাহমুদ তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন কলকাতার সাংবাদিকদের প্রতি। তিনি বলেন, “কলকাতার সাংবাদিকবৃন্দ যে সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করেছেন, ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।”
এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতার সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের ভূমিকা নিয়ে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বইটির নামও ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধঃ কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেস ক্লাব কলকাতা’। এই বই ভারত-বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের পরিচয় বহন করবে।
তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “ইতিহাস যেনো হারিয়ে না যায়, সেজন্য ইতিহাসের সাক্ষী এই বর্ষীয়ান সাংবাদিকবৃন্দের কথন সংগ্রহে রাখা একান্ত জরুরি। ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেসক্লাব কলকাতা’ গ্রন্থটি সেই কাজটিই করেছে।”