চলতি বর্ষার মরশুমে তো বটেই, বিগত কয়েক কয়েক বছরে এমন বৃষ্টি দেখেনি কলকাতাবাসী। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে এমন ধারার বৃষ্টিপাত দেখেনি কলকাতার মানুষ।
মুষলধারা বৃষ্টি প্রাণ কেড়ে নিল দুজনের। নিহতদের নামঃ অজয় বেরা এবং রাজা মল্লিক (২৮)।
সূত্রে জানা গেছে, জলে জলাকার বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা অজয়বাবু বাড়িতে বিদ্যুতের ইনভার্টার মেরামত করার সময় কোনভাবে জলের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে গেলে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারান অজয়বাবু।
অন্যদিকে একবালপুর লেনের বাসিন্দা রাজা মল্লিক (২৮) এদিন বৈদ্যুতিক পোস্টে তড়িদাহত হয়ে মারা গেছেন।
জীবিকার টানে জনসাধারণকে ঘর থেকে বেরোতেই হয়। আর এভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে বেরিয়ে মানুষ মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।
জলের এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে বেহালার কোন কোন স্থানে নৌকায় চলতে দেখা গেছে। শ্যামবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, উল্টোডাঙা আন্ডারপাস, মধ্য কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজ স্ট্রিট, দক্ষিণে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, দক্ষিণ শহরতলির বেহালা-ঠাকুরপুকুর, ই এম বাইপাস সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে মানুষের অবস্থা বিপন্ন করে তুলেছে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল খুব শীঘ্রই জল নেমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে যে তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে!
এদিকে প্রবল বর্ষণের ফলে গাড়ি জ্যামে আটকে যাচ্ছে। ফলে যানজট বৃদ্ধি পেয়ে কলকাতার অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়েছে। জঞ্জাল সাফাইয়ে বিঘ্ন ঘটেছে। জিটি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড সহ বিভিন্ন রাস্তার ধারের বড় ভ্যাটগুলিতে জঞ্জাল উপচে পড়ছিল।
এদিকে আবওহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় বেগতিক বর্ষণ আরম্ভ হবে।