কলকাতা: অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়র তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জনগণ অসন্তুষ্ট। কারণ প্রার্থী হবার পর থেকে তিনি যেসব আবোল তাবোল যুক্তিহীন কথা বলে যাচ্ছেন, তা হতবাক করছে সবাইকে। সবাই এক কথায় বলছে, তৃণমূলে এলে মানুষ এভাবেই আমূল পাল্টে যায়! রচনার কথার কোনো যুক্তি নেই, যা মুখে আসছে তাই বলছেন।
এদিকে, শুধু ভোটের সময়েই নয়, গোটা পাঁচ বছরই দেখা মিলবে। বলাগড়ে নির্বাচনী প্রচার সভায় গিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই রচনা জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন।
এবং বললেন, ‘কতটা কাজ করতে পারব, সেটা পরের কথা। কিন্তু যখন চাইবেন তখন পাশে পাবেন। এরকম হবে না যে ভোটের সময় দেখতে পেলেন, পাঁচ বছরে আর দেখতে পাবেন না। সেটা হবে না কোনওদিনও।’
হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ নই,রাজনীতিবিদও নই। আমি রাজনীতির ময়দানে একেবারে নতুন। আমার কাছে তাই রাজনীতির বক্তৃতা নেই। আমি শুধু মন থেকে বলব এবং যেটা বলব সেটা করে দেখাব।’
এদিকে, ক’দিন আগেই হুগলির সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে দই খেয়েছিলেন রচনা। দই খেয়ে বলেন, ‘টকদইটা তো অসাধারণ। বাবা!আমাদের বাড়িতে তো এরকম টকদই হয়ই না কলকাতাতে। কী দই হয় কে জানে!’
‘এবার তো এখান থেকে নিয়ে যাব। যতবার আসব, ততবার নিয়ে যাব। দারুণ। তার মানে কী, সিঙ্গুরে এত ঘাস, গাছপালা। গরু সেগুলো খাচ্ছে। এসব খেয়ে গরু হৃষ্টপিষ্ট হচ্ছে। ফলে দুধ ভাল হচ্ছে।’
কী অদ্ভুত কথাবার্তা! মনে হচ্ছে শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন রচনা!
এদিকে বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ায় প্রচার চলাকালীন রাস্তায় ঘুগনি খান রচনা। ঘুগনি মুখে দেওয়ার পর রচনা বলেন, ‘ভাল খেতে তো। বাড়ির চেয়েও ভাল।’