২৫শে আগস্ট তসলিমা নাসরিনের ৫৭ বছর পেরিয়ে গেল। নিজের জন্মদিনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কিছুটা নস্টালজিকও হয়ে পড়েন তিনি।
তবে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা ইতিমধ্যেই তাঁর জন্মদিনের সেরা উপহার পেয়ে গেছেন। ভারতের ‘পেঙ্গুইন পাব্লিশিং হাউস’ থেকে তসলিমা নাসরিনের মোট ১২ টি নতুন বই প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে প্রথম বইটি প্রকাশ পাবে ২০২১ সালে।
রবিবারই ‘পেঙ্গুইন’ তসলিমাকে এই খুশির সংবাদটি জানিয়ে জন্মদিনের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছে।
এদিন সকালে মানবতাবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বাড়িতে জন্মদিনের কেক নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন পেঙ্গুইন রেণ্ডম হাউসের ‘সিনিয়র কমিশনিং এডিটর’ প্রেমাংক গোস্বামী এবং প্রিয়াংকা।
বই প্রকাশ নিয়ে প্রেমাংক গোস্বামী শেয়ার করেছেন তসলিমা সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। তিনি বলেছেন, ‘নাসরিন এই সময়ের সবচাইতে ভয়হীন স্বর।’
নারীবাদী, কুসংস্কারহীন লেখিকা তসলিমা মুক্তচিন্তার মতবাদ প্রচার করার ফলে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর রচিত ‘লজ্জা’ ১৯৯৩ সালে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘লজ্জা’ প্রথম ৬ মাসেই প্রায় ৫০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছিল।
দেশে-বিদেশে তসলিমার রয়েছে অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্ত। আমরা যদি ভাবি, ভক্তদের মধ্যে কেবল নারীরাই রয়েছেন, তা কিন্তু মোটেও নয়। পুরুষরাও সমানে লেখিকা নাসরিনের ভক্ত। নিজেদের জীবন সাজাচ্ছেন তসলিমারই আদর্শে।
গতকাল ঔপন্যাসিক তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন নয়া দিল্লির বাড়িতে তো বটেই, বাংলাদেশের সর্বত্র পালিত হয়েছে মহাধুমধামে। তসলিমার ছবি এবং বাণী নামাঙ্কিত টি-শার্ট গায়ে গলিয়ে ওপার বাংলার যুবসমাজ পালন করেছে প্রিয় লেখিকার জন্মদিন।
শুভেচ্ছায় ভরে উঠেছে তসলিমার সোশ্যাল পেজ।
ডঃ তসলিমা নাসরিন আপ্লুত হয়ে পড়েছেন শত-শত ভক্তের অভিনন্দন বার্তায়। যতটা সম্ভব কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের।