‘চিঠি পাওয়ার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে যদি প্রধানমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ ! হুঁশিয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জী এবং তাঁর কৌঁসুলির। কিন্তু কি দোষে প্রধানমন্ত্রী পেলেন আইনি নোটিশ !
নোটিশ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে বহু মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিষেক ব্যানার্জীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু চিঠিতে লিখে জানিয়েছেন, বিগত ১৫ মে দলের হয়ে ভোটপ্রাচারে এসে ডায়মন্ড হারবারের সভায় আপনি আমার মক্কেল অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু সাজানো, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। এতে আমার সুনাম নষ্ট হয়েছে।
কৌঁসুলি আরো লিখেছেন যে, আপনার ভাষণে আপনি পরোক্ষে ভাতিজা ও দিদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। অথচ আপনি একথা জানেন না যে মমতা ব্যানার্জীকেই দিদি বলে ডাকা হয় এবং আমার মক্কেল অভিষেক ব্যানার্জী তাঁর ভাইপো ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আপনি অভিযোগ করেছেন যে অভিষেক অনুপ্রবেশকারীদের বেআইনি কাজকর্মে প্রশ্রয় দেন। এমনও ইঙ্গিত করেছেন যে, সম্মানীয় সাংসদ হয়েও সাংবিধানিক রীতিনীতি বিসর্জন দিয়ে সরকারি জমি জবরদখল করাটা তাঁর অভ্যেস। আমার মক্কেল তাঁর রাওজনৈতিক অবস্থান কাজে লাগিয়ে তোলা আদায়ে সক্রিয় সিন্ডিকেটের সঙ্গেও জড়িত, এই অভিযোগও করেছেন আপনি। এমনকি অভিষেককে আপনি গুণ্ডাও বলেছেন। এসব অভিযোগ পুরোপিউরি ভিত্তিহীন। আপনার পক্ষে এমন ভাষা প্রয়োগ শোভা পায় না। ভোটের ফল বেরনোর পর আপনি অভিষেওক্কে গ্রেপ্তারির ভয় দেখিয়েছেন। এসবে শুধু আপনার হতাশাই প্রকাশ পেয়েছে। ‘
চিঠির শেষে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হুঁশিয়ারি , ‘এই চিঠি পাওয়ার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে যদি প্রধানমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।