অবহেলার শিকারে এবার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কলকাতার ৭ নম্বর প্রতাপ চাটুজ্যে লেনের বাড়িটি।
ইতিহাস বলে, ওই লেনের দোতলা বাড়ি থেকেই নজরুল ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেছিলেন।
শুধু প্রকাশই নয় সেই বাড়িতে তিনি থাকতেনও।
এছাড়াও, ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ শীর্ষক কবিতাটি ধূমকেতুর একটি সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার পরেই তা ব্রিটিশরাজের রোষানলে পড়ে। কারণ, ওই লেখাকে শাসক-বিরোধী বলা হয়েছিল। নজরুলের নামে গ্রেফতারি পরওয়ানাও জারি হয়েছিল।
বাড়িটি হেরিটেজ তালিকার ‘গ্রেড পেন্ডিং’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বর্তমান রাজ্য সরকারের অবহেলার শিকার। সংরক্ষণের অভাবে আজ সেই বাড়িটি ধ্বংসের পথে।
বর্তমানে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই বাড়ি প্রায় ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, এই বাড়িটি এখন বিতর্কে জড়িয়েছে। একদিকে বলছে, বাড়িটি ঘিরে নজরুলের যে স্মৃতি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, যে বাড়ি থেকে নজরুল ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন, সেই বাড়িটির সংরক্ষণে সরকারি তরফে যথাযথ ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বাড়িটির মালিকপক্ষের মন্তব্য, ওই বাড়িটির সঙ্গে যে নজরুলের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, এমন প্রামাণ্য কোনও তথ্য তাঁদের হাতে নেই। শুধু তাই নয়, ওই বাড়িটি যে হেরিটেজ, তা জানা গিয়েছে বাড়িটি কেনার পরে!
বর্তমানে বাড়িটিতে কয়েক জন ভাড়াটেও থাকেন। নীচে রয়েছে একটি কারখানা। ভাড়াটিদের বক্তব্য, বার কয়েক নজরুলের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য পুরসভা, রাজ্য সরকার সহ সব জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও জায়গা থেকেই সাড়া পাওয়া যায়।
‘ধূমকেতু’-র দফতরের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে কি না, প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে!