কলকাতা: কলকাতায় তীব্র প্রতিবাদ হয়ে গেল। চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ ছেঁটে ফেলা হয়েছে দ্বাদশের সিলেবাস থেকে। জাতীয় স্তরে সিলেবাস কাঠামো সংক্রান্ত নিয়ামক প্রতিষ্ঠান এনসিইআরটি নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
বিজ্ঞানচর্চায় ডারউইনের বিবর্তনবাদ ফেরানোর দাবি উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিছিল হয় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের। মিছিলে সামিল অধ্যাপক থেকে বিজ্ঞানীমহলের একাংশ।
এনসিআরটি-র সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থিব বসু বলেছেন, “ডারউইনবাদ পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হলে এমন একটা প্রজন্ম তৈরি হবে, যারা জীবসৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আলো থেকে বঞ্চিত হবেন। অন্ধকারে থাকার কারণেই তাঁদের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস এবং অন্ধবোধ জারিত করা সহজ হবে। ডারউইনকে বাদ দেওয়া আসলে বিজ্ঞান চেতনাকে অস্বীকার করা।”
বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায় থাকবে। এখানে কোনো ধর্ম খাটবে না। ডারউইনকে চাই।
মঙ্গলবার কলকাতার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালো পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। বিজ্ঞান মঞ্চ বলেছে, বিজ্ঞানকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। এই সিদ্ধান্ত তার অংশ।
কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত হয়েছে মিছিল।
এদিকে, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানীদের বড় অংশ বলছেন, যুক্তিকাঠামো ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তার ভিতে আঘাত করছে কেন্দ্রের সরকার। এই আঘাত রুখতে হবে।
অন্ধ, বিজ্ঞানবিরোধী বিভিন্ন শক্তি বারবার বিবর্তনবাদকে মানতে অস্বীকার করেছে। প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়া দরকার সমাজের সব স্তরে।