এমন ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ পশ্চিমবঙ্গ আর দেখেনি। বিপুল ক্ষতি করে দিয়ে গেছে সুপার সাইক্লোন আমফান! মৃত্যু ঘটেছে প্রায় ৮০ জন লোকের। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে গৃহহীন হয়েছে ৫ লক্ষ মানুষ।
বিপর্যস্ত এলাকাগুলো খতিয়ে দেখার জন্যে রাজ্যে ১০.৩০ টা নাগাদ উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পুনর্বাসন এবং ত্রাণের জন্যে কেন্দ্রের সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন, কেন্দ্র রাজ্যের যে কোন পরিস্থিতিতে পাশে রয়েছে।
মমতার এক ডাকে ৮৩ দিন পর নয়া দিল্লি ছেড়ে বাংলার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার দিলীপ বাবু বলেন, “আয়লার সময় উনি রাজ্যে কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন নেই, এমনভাবেই কেন্দ্রীয় সাহায্য বিরোধিতা করেছিলেন। আর এখন নিজে ক্ষমতায় এসে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা চাইছেন। এখন আরো বেশি তৃণমূল টাকা মারবে। আসলে এটাই ওঁর স্বভাব। নাটক করে জীবন কাটিয়ে দিলেন। এখনো কলকাতা স্বভাবিক করতে পারলেন না উনি। যে সব জায়গা সচল হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয় দল করছে। তারাই গাছ কেটে পরিষ্কার করছে।”
কেন্দ্র যে কোন পরিস্থিতিতেই রাজ্যের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কোনভাবেই, কোন পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াতে রাজি নন। করোনা সংকটেও রাজ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে দিয়ে আশ্চর্যান্বিত করেছেন।
আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০০৯ সাল, বাংলা ভেসে গিয়েছিল আয়লায়। তৎকালীন বিরোধি দলের আসনে আসীন মমতা কেন্দ্রের সাহায্যকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সে সময়ের কথা উল্লেখ করে সিপিএম কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তখন কেন্দ্র সরকারের কাছে হাজার কোটি টাকার আর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গর্জে উঠেছিলেন মমতা। সিপিএমের ত্রাণ দেয়ার কোন সদিচ্ছা নেই, লোকদেখানোর জন্যে আর্থিক সাহায্য চাইছে বাম। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
আজ ২০২০, দেখা দিয়েছে ভয়ংকর আমফান। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আর্থিক সাহায্যের দাবি জানালেন কেন্দ্রের কাছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার রাজনীতি কাদামাখানো রাজনীতি। সিটিজেনশিপ অ্যামেণ্ডমেন্ট বিল নিয়ে চলা প্রতিবাদের সময় বামেদের মন্তব্য ছিল। পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই দিদিমণি রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জী করতে দেবেন না কেন্দ্রকে! উত্তাল প্রতিবাদ চালিয়েছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি তাঁর রক্তে! অভিযোগ সচেতন মহলের।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক স্থিতি নিয়ে জনসাধারণের মনে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। আসলে তিনি যে কখন কি বলছেন, কখন কি করছেন তার স্থিরতা নেই! ক্যাব’ এর সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাজ আন্দোলন, এনআরসি মানছি না, মানবো না, ক্যাব মানছি না, নরেন্দ্র মোদি হুঁশিয়ার’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস উত্তাল করে তুলেছেন।
তখনই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় স্বয়ং মমতাকে আক্রমণের জন্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটো ভিডিও ক্লিপ একইসঙ্গে ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন রাজ্যপাল জগদীপ।
সেখানে একটি ক্যাপশনও লিখেছেন তিনি: “ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।”
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মমতা। অনুপ্রবেশ মানেই বিপর্যয়! বলেন তিনি।
পরবর্তী ক্লিপিংয়েই দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তৃতা, যেখানে এনআরসি ও ক্যাবের বিপক্ষে সরাসরি বক্তব্য রাখছেন তিনি।
এবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কোন স্থিতিতে বিশ্বাসী হবে জনগণ?
মমতা ব্যানার্জী যে স্পষ্টভাবে দ্বিচারিতা করছেন, তা প্রমাণ করলেন রাজ্যপাল।
আইন পাশ হলেও গণআন্দোলন গড়ে তুলে মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনভাবেই পশ্চিমবঙ্গে ক্যাব অথবা নাগরিকপঞ্জি মেনে নেবেন না।
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…
ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…
সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…
ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…