নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস ও তৃণমূল এমন কথা বলতে আরম্ভ করেছে, যার ফলে সন্ত্রাসবাদীদের সুবিধা হবে খুশি হবে পাকিস্থান । কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে দলীয় জনসভায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে এই ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তিনি বলেন, তোষণের রাজনীতি করে বলে কংগ্রেস ও তৃণমূল সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নরম অবস্থান নেয়।
কংগ্রেসের ইস্তেহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইস্তেহারে কয়েকটি আইন তুলে দেওয়ার কথা বলেছে কংগ্রেস। সেনা বাহিনীকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া থেকে শুরু করে আরও কিছু বিষয় সেখানে আছে।
মোদী বলেন, কংগ্রেস এমন কথা বলছে যাতে আতঙ্কবাদীদের সুবিধা হবে, পাকিস্তান খুশি হবে। আর যাঁরা কংগ্রেস থেকে ভেঙে বেরিয়েছেন তাঁরাও রাজনৈতিক জমি হারাচ্ছেন বলে দেশ বিরোধী কথা বলছেন। মোদীর কটাক্ষ, মে মাসের ২৩ তারিখের পর কংগ্রেসও থাকবে না ওদের ইস্তেহারও থাকবে না।
গত জানুয়ারি মাসে হয়ে যাওয়া তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশকে নিশানা করে মোদী বলেন, “আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে নেতারা এসে বললেন মোদী হটাও। কেন বললেন? মোদীর কী দোষ? গরিবের মাথায় ছাদ দেওয়া অন্যায় হল সেই অন্যায় আমি করেছি।”
মোদী বলেন, “খুব কম সময়ের মধ্যেই সভার আয়োজন হয়েছে। তবু এত ভিড় হয়েছে। ২৩ মে কী হবে সেটা বঙ্গ ভূমির এই ভিড় দেখেই রাজনৈতিক পন্ডিতরা বুঝতে পারবেন। বাংলা বিপ্লব আর কবিতার জায়গা। এখান থেকেই নতুন দেশ গড়ার কাজ শুরু হবে। ব্রিগেডে এত বড় সভা আগে কখনও হয়নি। আমি কথা দিচ্ছি যে ভালবাসা আপনারা দিচ্ছেন তা আমি উন্নয়ন করে ফিরিয়ে দেব। বাংলার প্রতিটি কোণ থেকে সমর্থন পেয়েছি। ভারতের জয়জয়াকার হচ্ছে, ভারত যা করার স্বপ্ন দেখত এখন সেটাই হচ্ছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন ভারত তৈরির কাজ হচ্ছে”।
বিরোধীদের উদ্দেশে মোদী বলেন, কারা সন্ত্রাসবাদীদের দেহ দেখতে চেয়েছিল? বীরদের থেকে প্রমাণ চেয়েছিল কারা? এটা নিহত জওয়ানদের অপমান।
২০১৯ সালের ভোটে নতুন ভারত তৈরি হবে আশা প্রকাশ করে মোদী বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দর দেখান পথে চললে ভারত অন্য জায়গায় চলে যেত। কিন্তু তার জায়গায় ৫৫ বছর ধরে পরিবারতন্ত্র চলেছে। আমি এর বিরুদ্ধেই সংগ্রাম করেছি।”