নয়াদিল্লি: নোটবন্দীর সময় সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝামেলায় পড়েছিল। টাকা হাতে নেই,, এটিএম এ টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টার সময় নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক মিনিটেই গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ের ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট।
সে সময় বলা হয়েছিল, ভুয়ো টাকা, কালো টাকার রমরমা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরে নতুন ৫০০, ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। কিন্তু এই দু হাজারের নোট জনগণ কতদিন আর নাড়াচাড়া করেছেন? কোথায় যে হঠাৎ হাওয়া হয়ে গিয়েছে এই নোট!
আর এবার এই নোট নিয়ে হুলুস্থুল শুরু হয়েছে।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্দেশিকা জারি করে নতুন ২০০০ টাকার নোট ফেরানোর ঘোষণা করে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আরো প্রায় ৪ মাস সময় পাওয়া যাবে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার জন্যে।
এবার এই নিয়ে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইট বার্তায় ২০০০ টাকা ফেরানো ইস্যুতে মমতা লেখেন, ‘তাহলে এটা ২০০০ টাকার নোটের ধামাকা ছিল না, বরং ১০০ কোটি ভারতীয়কে দেওয়া বিলিয়ন ডলার ধোকা ছিল। আমার ভাই ও বোনেরা, ঘুম থেকে উঠুন। নোট বাতিলের সময় আমাদে যে কষ্ট পোহাতে হয়েছিল, তা এখনও আমরা ভুলে যাইনি। আর যারা আমাদের সেই কষ্ট দিয়েছে, তাদের ক্ষমা করা উচিত নয়।’
তাছাড়াও এক টুইট বার্তায় কুণাল লেখেন, ‘গতবার নোটবন্দিতে বলা হয়েছিল কালো টাকা উদ্ধার হবে, জঙ্গিদের টাকার জোগান বন্ধ হবে, কিন্তু কোনোটাই হয়নি। কিছু লোক ব্যাঙ্কলুট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। আর ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার আবারও সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে।’