আজ ফের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নাগরিকপঞ্জি এবং সিএএ’র প্রতিবাদে শিলিগুড়ি মহামিছিলে যোগ দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আজও লক্ষ লক্ষ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পথে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সভা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবেন।
মিছিল শুরুর পূর্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্ত করে তোলা হয়েছে।
পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মিছিলে কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন শিলিগুড়ির মৈনাক ট্যুরিস্ট লজের সামনে পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মৈনাক ট্যুরিস্ট লজের সামনের মঞ্চে বক্তব্য পেশ করে মিছিল শুরু করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মিছিল শেষ হবে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে। প্রায় ৬ কিমি হাঁটবেন তিনি।
পাহাড় থেকে পার্বত্য তৃণমূল ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী–সহ অন্তত ১৫টি বোর্ডের হাজার হাজার মানু্ষ প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন ধীরে ধীরে।
বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, এই প্রতিবাদ কতটুকু কাজে দেবে? আগামি নির্বাচনে কি গদি ধরে রাখতে পারবেন তিনি?
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে যে আসন তীব্র আতংক কাজ করছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আরো একবার পুরুলিয়ার মঞ্চ থেকে।
পুরুলিয়া সভামঞ্চ থেকে তাঁর ঘোষণা,
“আপনার মাথার ওপর একটা আশ্রয় আছে, সে আশ্রয়টা যাতে চলে না যায়, সেটা তার আন্দোলন।”
আদৌ কী এ জনগণকে অস্তিস্ত্ব টিকিয়ে রাখার ইতিবাচক মন্তব্য নাকি নিজের গদি হারানোর শংকা? মমতা যে আগামি বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে গভীর চিন্তিত, তা আজকের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণ হয়ে গেল।