কলকাতা: সোমবারই দেশ জুড়ে সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। জানা গিয়েছে, সিএএ জারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
কী আছে এই আইনে?
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত অর্থাৎ (ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে) হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
এই ছয় ধর্মের জনগণকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এবং উক্ত তিন দেশ থেকে আসা হতে হবে।
ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না। অর্থাৎ অন্য কারো জন্য এই সিএএ নয়।।
এদিকে লাফালাফি শুরু হয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি চিৎকার করছেন আবারো সিএএ মানি না।
ছেলের হাতে মোয়া। জাস্ট লালিপপ। কোনও বৈষম্য হলে মানব না। যদি একটা ক্যা করে বলেন আপনি নাগরিক তাহলে কি নাগরিক ছিলেন না এতদিন। কেন তাদের আধার কার্ড বাতিল করছিল? আমাদের থিওরি হল সবাই নাগরিক।
সিএএ নিয়ে নবান্নে জরুরী বৈঠকে বসেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, একমাত্র ক্যা যদি বৈধ হয় তবে তাদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে তবে সেই ভোটের কোনও মূল্য নেই। ভোটের আগে নতুন করে বলতে হচ্ছে। যদি ক্যা দেখিয়ে, এনআরসি দেখিয়ে যারা এখানকার নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় তবে প্রতিবাদ করব। ক্যার নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্পে সেটা মানব না। এটা জাস্ট প্রতারণা। ছলনা। এতে কেউ খুশি হলে আমি খুশি হব। কেউ দুঃখ পেলে আমি দুঃখ পাব। আমি মনে করি এখানে সকলে যারা আছেন তাঁরা সকলেই নাগরিক। এই নয়া আইন আগের অধিকারগুলিকে বাতিল করে দেবে না তো?’
মমতা বলেছেন, ‘বাংলা সহ উত্তর পূর্বে এটা কিন্তু খুব সেনসেটিভ। নতুন করে অশান্তি হোক এটা চাই না। পায়ে পা লাগিয়ে কিছু করা হলে এটা মানব না। রমজানের অভিনন্দন। কিন্তু এই দিনেই কেন করতে হল? সবাইকে শুভনন্দন। ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল আওয়াজ তুলবে। তার সূচনাটা বলে দিলাম। মধ্য়গগনে কী ফুল ফুটবে তা তো জানি না। সাহস থাকলে ৬ মাসে আগে দিতেন। হঠাৎ ভোটের আগে এসব করতে হল কেন? ছলনা সবসময় ছলনা। দেশের খারাপ হলে সেটা সমর্থন করি না।’