গ্রেফতার ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে মমতার ছিল গলায় গলায় সম্পর্ক। আইএনএক্স মিডিয়া কেলেংকারিতে চিদম্বরমের গ্রেফতারে মমতার কলম ঝলসে উঠেছে! তাঁর মতে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। গণতন্ত্র আজ কাঁদছে।
মনের কথা কলমের কালি হয়ে সাদা পাতায় ঝরে পড়ল। লিখলেন ‘ঠিকানা’ শীর্ষক কবিতা।
“গণতন্ত্রের ঠিকানা? চেনা যাচ্ছে না।
দেশের ইতিহাস বোঝা যাচ্ছে না।
সংবাদ জগত কথা বলছে না।
কাক কা-কা ডাকছে না।
চড়ুই পাখি ধান খাচ্ছে না।
বিচারের কুশল কলেবর?
অসম্মানের উঠেছে ঝড়?
এ ঝড় কেন থামছে না?
অধিকারগুলো বস্তা ভর্ত্তি-প্রতিবাদিরাও কারাগারে বন্দী।
ফ্যাসিজম কাউকে মানেনা, পাচ্ছি না খুঁজে আমার ঠিকানা? সবটাই জানা তবু অজানা। সীমার মাঝে নেই অসীম সীমানা।
ভালো আছি তবু মনকে সান্ত্বনা? হৃদয় ঠিকানা জানিয়ে দাও না।”
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 22, 2019
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা যখন রাজনীতিতে পা রেখেছেন, সে সময় চিদম্বরম ছিলেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা। এরপর মমতা তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক মধুর ছিল।
তাই পুরনো সহকর্মীর গ্রেফতারে তিনি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। অবশ্য তিনি জম্মু-কাশ্মীর মূল ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতিতেও মোটেই খুশি নন। যদিও তখন কোন কবিতা সৃষ্টি হয়নি!
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ‘ঠিকানা’ পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা চিদম্বরমকে জেরা করার পর আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ফের শুরু হয়েছে জেরা।
আজ সুপ্রিম কোর্টে চিদম্বরমের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
২০০৭ সালে চিদম্বরম ভারতের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড’ (এফআইপিবি)- এর কাছে বিদেশি লগ্নির আবেদন করেছিল আইএনএক্স মিডিয়া। তাতে লগ্নির টাকা সহযোগী সংস্থাগুলোতেও বিনিয়োগের অনুমতি চেয়েছিল তারা। কিন্তু আইএনএক্স মিডিয়ার লগ্নি এফআইপিবি অনুমোদন করলেও সহযোগী সংস্থায় ওই টাকা বিনিয়োগে সায় দেয়নি। আইএনএক্স মিডিয়া সেই নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করায় এ অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় আয়কর দফতর।