কলকাতাঃ কেন্দ্ৰীয় হারে DA দেওয়া সম্ভব নয়। সোমবার DA নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee West Bengal CM) বিধানসভার ভেতরে স্পস্ট বার্তা দিলেন। ‘‘আমায় পছন্দ না হলে আমার মুণ্ডু কেটে নিন এর থেকে বেশি আমার থেকে পাবেন না’’।
মুখ্যমন্ত্ৰী এদিন আরও বলেন – পেনশন দিতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকা বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন- ‘পেনশন না দিলে আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যায়, বিরোধী দলের কাছে জানতে চাইছি, পেনশন বন্ধ করে দেব?’, বিধানসভার (Assembly) ভিতরে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, টাকা তো আকাশ থেকে পড়বে না’।
DA নিয়ে প্ৰতিবাদকারীরা মুখ্যমন্ত্ৰীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন। বলেন- মুখ্যমন্ত্ৰী নিজে আইনের ছাত্ৰী তিনি আইনের কথা বলুন। পেনশনের টাকা মুখ্যমন্ত্ৰী দেন না, ওই টাকা কেন্দ্ৰীয় সরকার দেয়। মুখ্যমন্ত্ৰী এইসব কথা বলে মানুষকে বিভ্ৰান্ত করছেন।
সিপিএমের কেন্দ্ৰীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্ৰবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন – নর্দমায় নোংরা জলের স্ৰোত, এটা স্বাভাবিক কিন্তু মানুষের মুখে সেইরকম নর্দমার মতো স্ৰোত থাকবে, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্ৰীর মুখে, ‘আমার মুণ্ডু কেটে দিন..’ এটা কখনও চলতে পারে না। এটা মুখ্যমন্ত্ৰী সুলভ কথা নয়। উনি কি পারবেন না? সরকারী কর্মচারীদের অধিকার সেটা রক্ষা করতে পারবেন না। অন্যান্য রাজ্যের কর্মচারীরা ডিএ পেলে পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা না পেলে তাহলে বলতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে- দুর্ভাগ্য আমাদের যে মুখ্যমন্ত্ৰীর মুখে এধরনের কথা শুনতে হচ্ছে।
শহীদ মিনারের ধরনা মঞ্চে DA নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) বলেন- মুখ্যমন্ত্ৰী প্যাচে পড়েছেন ওনাকে ডিএ দিতে হবে। কেন্দ্ৰীয় হারে দিতে হবে। এবং এরিয়ার সমেত দিতে হবে।
ভাঙরের ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) বলেন- ডিএ যদি তিনি দিতে না পারেন সরে যান ক্ষমতা থেকে। যদি উনি দিতে না পারেন ওনার মুণ্ডু কাটাতে হবে না সরে যান ক্ষমতা থেকে। সরকারী কর্মীরা তাঁর মুণ্ডু চান না।
মুখ্যমন্ত্ৰীর এই মন্তব্যের পর এবার DA আন্দোলন কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।